দক্ষিণ এশীয়ায় শান্তির বার্তা ছড়িয়ে মহাকাশে ডানা মেলল ‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’। উপমহাদেশে শান্তির দূত তথা যোগাযোগের নতুন দিগন্ত খুলে এদিন শ্রীহরিকোটা থেকে আকাশে পাড়ি দিল ‘নটি বয় অফ ইসরো’। আদ্যন্ত একটি যোগাযোগ উপগ্রহ। যা শুধু ভারত নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই একটা দারুণ উপহার হতে চলেছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উৎক্ষেপনের পর স্যাটেলাইটটি নিজের কক্ষে সঠিকভাবেই প্রতিস্থাপিত হয়। সফল হয় উৎক্ষেপন। মূলত পারস্পরিক যোগাযোগ ও পারস্পরিক বিপর্যয় সহায়তার ক্ষেত্রে জিস্যাট-৯ উপমহাদেশের ৭টি দেশের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে চলেছে। তবে নিজেদের পৃথক মহাকাশ গবেষণার কারণ দেখিয়ে এই প্রকল্প থেকে নিজেদের দূরে রেখেছে পাকিস্তান। বাকি দেশগুলি অর্থাৎ নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ভারত এই প্রকল্পে একসঙ্গে উপকৃত হবে।
উদ্যোগটি ভারতের। প্রযুক্তিও ভারতেরই। তবে এই প্রকল্পে অন্য দেশগুলিও নিজেদের মত করে সাহায্য করেছে। আইআইটি কানপুরের ইঞ্জিনিয়ার ও ইসরোর কোর টিম মিলে ৩ বছরের পরিশ্রমে এই উপগ্রহটিকে তৈরি করেছে। খরচ পড়েছে ২৩৫ কোটি টাকা। ৫০ মিটার লম্বা ৪১২ টন ওজনের উপগ্রহটি তৈরি করা হয়েছে ১২ বছরের আয়ু নিশ্চিত করে। যা গোটা উপমহাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে এক অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে যাবে। ২২৩০ কেজি ওজনের জিস্যাট-৯ ভারতকে ফের মহাকাশ বিজ্ঞানে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিল। ইসরোর এই সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।