দুষ্টু ছেলেই রয়ে গেল ভারতের জিএসএলভি রকেট
তার গায়ে দুষ্টু ছেলের তকমা আগেই লেগেছিল। সেই কলঙ্ক বৃহস্পতিবারও মুছল না। সেই দুষ্টু ছেলেই রয়ে গেল জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল।
বৃহস্পতিবার সকালে ঠিকঠাকই আকাশে উড়ে গিয়েছিল জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা জিএসএলভি-এফ১০ রকেট। আর্থ অবজার্ভেশন স্যাটেলাইট বা ইওএস-০৩-কে কক্ষে প্রতিষ্ঠিত করতে সেটিকে নিয়ে উড়েছিল রকেটটি।
প্রথম ৫ মিনিটের উড়ানে কোনও সমস্যা ছিলনা। ঠিক ছিল ৫ মিনিট ওড়ার পর রকেটের ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন চালু হবে। সেটা ৬ মিনিটের মাথায় হয়ও।
কিন্তু তারপরই মিশন কন্ট্রোল সেন্টারের বিজ্ঞানীরা মাথায় হাত দিয়ে বসেন। রকেট থেকে কোনও ডেটা আর এসে পৌঁছচ্ছিল না। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পরও তা না পাওয়া যাওয়ায় ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানান, ক্রায়োজেনিক স্তরে একটি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এই মিশন সফল হল না।
পৃথিবীর ওপর ভারতের চোখ রাখা যদি বলা হয় তাহলে সেদিক থেকে এই ব্যর্থতা অবশ্যই অন্য মাত্রা রাখে। কারণ যে স্যাটেলাইটটি পাঠানো হচ্ছিল তা যদি প্রতিস্থাপিত করা যেত তাহলে এটাই হত মহাকাশ থেকে বিশ্ব পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট। যা এদিন রকেটের সমস্যায় ব্যর্থ হল।
আর্থ অবজার্ভেশন স্যাটেলাইট বা ইওএস-০৩ এদিন ঠিকঠাক প্রতিস্থাপিত হলে তা ১০ বছর কাজ করত মহাকাশ থেকে। এদিকে রকেট ও এই স্যাটেলাইটটি মিলিয়ে কার্যত কয়েক কোটি টাকা নষ্ট হল এদিনের মিশনের ব্যর্থতায়।
ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, কৃত্রিম উপগ্রহটি পাঠানোর জন্য এদিন উড়ানের পর প্রথম ও দ্বিতীয় স্তর সফলভাবেই কাজ করেছিল। কিন্তু ক্রায়োজেনিক স্তরে পৌঁছে যখন তা জ্বলে ওঠার কথা তখন তা জ্বলে ওঠেনি।
কেন তা সময়মত জ্বলে উঠল না তা তদন্ত করে দেখছে ইসরো। প্রসঙ্গত এখনও পর্যন্ত জিএসএলভি রকেট উৎক্ষেপণের পর তা ৬ বার ব্যর্থ হয়েছে।
কয়েকবার পিছিয়ে দিতে হয়েছে রকেট পাঠানোর নির্ধারিত দিন বা সময়। তাই ইসরো-র বিজ্ঞানীরা জিএসএলভি-র নাম রেখেছেন দুষ্টু ছেলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা