ফের বড় সাফল্য ইসরোর, উড়ল মানুষের রকেট, সাগরে নামল প্যারাসুট
চন্দ্রযান-৩ ও আদিত্য-এল১-এর সাফল্যের পর ইসরোর মুকুটে নতুন পালক। এবার মহাকাশে মানুষ পাঠানোর কর্মকাণ্ডে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
ইসরোর বড় সাফল্য এসেছে চন্দ্রযান-৩ থেকে। তারপর ফের সাফল্যের মুকুটে আর এক পালক যোগ হয় আদিত্য-এল১-এর হাত ধরে। এবার মহাকাশে মানুষ পাঠানোর জন্য তৈরি হচ্ছে ইসরো। আর সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষাও সারছে তারা।
মানুষ নিয়ে মহাকাশে যাওয়ার সেই গগনযানের পরীক্ষার একটি অন্যতম অংশ হল যে রকেট ভারতীয় নভশ্চরদের নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে সেই রকেট ঠিকমত কাজ করছে কিনা তা দেখা।
আপৎকালীন পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচিয়ে সেই রকেট থেকে ভারতীয় নভশ্চররা বেরিয়ে আসতে পারেন কিনা সেটাও দেখা। তারই পরীক্ষা ছিল শনিবার সকালে। কিন্তু সে পরীক্ষায় প্রথমে ধাক্কা খেয়েও তা সামলে সফল হয় ইসরো।
পরীক্ষামূলক ভাবে তৈরি টেস্ট ভেহিকল ডি১ শনিবার সকালে আকাশে উড়ে যাওয়ার জন্য তৈরি ছিল। শ্রীহরিকোটা থেকে রকেটটি উড়ে যাওয়ার কথা ছিল সকাল ৮টায়। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় সময় পরিবর্তন করে পৌনে ৯টায় করা হয়।
পৌনে ৯টায় রকেটটি উড়ে যাওয়ার ঠিক ৫ সেকেন্ড আগে ইসরোর বিজ্ঞানীরা দেখেন আচমকা থমকে গেল উড়ান। বিজ্ঞানীরা জানান, রকেটটিকে সঠিক সময়ে উড়িয়ে দেওয়াটা ছিল কম্পিউটারের হাতে। সেভাবেই সব ঠিক ছিল। কেন এমনটা হল তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
সমস্যার সূত্র দ্রুত খুঁজে সব ঠিক করে দেওয়ার পর সকাল ১০টায় ফের উড়ানের স্থির হয়। এবার আর কোনও সমস্যা হয়নি সফলভাবে উড়ানে। রকেটটি একদম নির্ধারিত পথেই উড়ে যায়।
এই রকেটে কোনও সমস্যা হলে যাতে নভশ্চররা দ্রুত প্রাণ বাঁচিয়ে প্যারাসুটে নেমে আসতে পারেন, তারও পরীক্ষা ছিল এদিন। সেটাও সফল হয়। মানুষ না থাকলেও প্যারাসুট সঠিকভাবেই বঙ্গোপসাগরে নেমে আসে।
ভারত ২০২৪ সালে মহাকাশে মানুষ পাঠানো স্থির করেছে। তারই পরীক্ষায় এদিন ১০০ শতাংশ সাফল্য পেল ইসরো। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা