মহাশূন্যের রহস্যভেদের লক্ষ্যে বছরের প্রথম দিনেই ইতিহাস লিখল ইসরো
ইসরোর মুকুটে নতুন পালক যোগ হল। মহাশূন্যের এক রহস্যভেদে ইসরোর যান পাড়ি দিল মহাকাশে। সঙ্গে রইল একাধিক নতুন যোগ।
নতুন বছর ২০২৪ সালের প্রথম দিনেই ইতিহাস গড়ল ইসরো। ১ জানুয়ারি সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শ্রীহরিকোটা থেকে মহাকাশের দিকে পাড়ি দিল ইসরোর রকেট পিএসএলভি। যাতে চেপে মহাকাশের পূর্বপরিকল্পিত স্থানে প্রতিস্থাপিত হল মহাকাশ যান এক্সপোস্যাট। যা সফল ভাবে তার লক্ষ্যে পৌঁছয়।
এই প্রথম বছরের প্রথম দিনেই ইসরো কোনও মহাকাশযান মহাকাশে পাঠাল। মহাকাশে পাঠানো এই যানের অন্যতম লক্ষ্য হল মহাকাশের কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া। কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোলের রহস্যভেদ করা।
সেটাই এই এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইটের প্রধান কাজ। এদিন অবশ্য ইতিহাসের পর ইতিহাস লিখল ইসরো। কারণ ইসরোর এদিনের পাঠানো রকেটে চেপে মহাকাশে পৌঁছল মহিলাদের তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ।
যা তৈরি করেছে এলবিএস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি ফর ওমেন। এই প্রথম মহিলাদের তৈরি কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পৌঁছল। প্রসঙ্গত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৈরি ১০টি যন্ত্র এদিন মহাকাশে পৌঁছে গেল এই মহাকাশযানের হাত ধরে।
ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ভারত যখন মহাকাশে তাদের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করবে তখন সেখানে জ্বালানি হিসাবে যে ফুয়েল সেল লাগবে তারও পরীক্ষা হবে এই মহাকাশযানের হাত ধরে।
এক্সপোস্যাট-কে এদিন ৬৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। এই উচ্চতায় মহাকাশযানটি কক্ষে ঘুরতে থাকবে ও তার কাজ করবে। এটা অবশ্যই মহাকাশ গবেষণায় ইসরোর এক বড় পদক্ষেপ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা