মহাকাশ গবেষণার জগতে নতুন উচ্চতায় ভারত, এল বড় সাফল্য
মহাকাশ গবেষণার জগতে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো আরও একটি পালক নিজেদের মুকুটে যুক্ত করল। যা ইসরোকে বিশ্ব মহাকাশ গবেষণার মানচিত্রে আরও সম্মানজনক আসনে বসাবে।
চাঁদে ইসরোর পা রাখার পর মহাকাশ বিজ্ঞানের জগতে ভারত এক অন্যই সম্মান অর্জন করেছে। গোটা বিশ্বই এখন সম্ভ্রমের নজরে দেখছে ভারতের ক্ষমতাকে। অবশ্য চাঁদে পা রাখাই নয়, সূর্যকে চিনতে আদিত্যকে পাঠিয়ে এবং আরও একের পর এক তাক লাগানো সাফল্য অর্জন করে এখন ইসরো পৃথিবীর হাতেগোনা মহাকাশ গবেষণা সংস্থার অন্যতম। সেই ইসরো ফের এক নতুন সাফল্য অর্জন করল। আর তা করল রবিবার সকালে।
মহাকাশের জন্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য বা রিইউজেবল লঞ্চ ভেহিকল পুষ্পক-এর সঠিক অবতরণ পরীক্ষার কাজ চলছিল। এর আগে ২টি পরীক্ষা সফল হয়েছিল। রবিবার ছিল আরও কঠিন পরিস্থিতি।
হাওয়ার জোড়াল গতির মধ্যেও পুষ্পক নামতে সক্ষম কিনা তা দেখার পরীক্ষা ছিল এদিন। সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ-এ অ্যারোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্জে পুষ্পক একদম যেমন ভাবে বিজ্ঞানীরা চেয়েছিলেন তেমনিভাবে অবতরণ করে।
তার আগে পুষ্পককে নিয়ে আকাশে উড়ে গিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার চিনুক। মাটি থেকে সাড়ে ৪ কিলোমিটার উচ্চতায় নিয়ে গিয়ে পুষ্পককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরপর সেটি একদম যেভাবে স্থির ছিল সেভাবেই অনুভূমিক অবতরণে সক্ষম হয়। ডানা যুক্ত এই যানের এটাই ছিল তৃতীয় ও চূড়ান্ত অবতরণ পরীক্ষা।
সেই পরীক্ষায় পুষ্পক সম্পূর্ণ সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগামী দিনের মহাকাশ গবেষণায় ইসরো এক নতুন দিগন্তের হদিশ পেল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা