ঐতিহাসিক সাফল্য, সূর্য রহস্য জানতে প্রোবা-৩-কে আকাশে পৌঁছল ইসরো
ফের এক ইতিহাস লিখল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসরোর যান যত এগোল ততই হাসি চওড়া হল বিজ্ঞানীদের মুখে।
সূর্যকে জানতে, তার রহস্য উন্মোচনে ইতিমধ্যেই আদিত্য-এল১ নামে এক যানকে সূর্যের কাছে পাঠিয়েছে ইসরো। আদিত্য তার কাজ করে চলেছে। এবার সূর্যের রহস্য উদ্ঘাটনে, সূর্যের অজানা কথা জানতে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি তাদের প্রোবা-৩ নামে যান মহাকাশে পাঠাল।
এই যানকে মহাকাশে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল ভারত। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা-র সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে প্রোবা-৩ নামে এই যানটিকে নিয়ে মহাকাশের দিকে দৌড় দিল ভারতীয় রকেট পিএসএলভি-সি৫৯। তবে একদিন পর।
এটির বুধবার উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ মুহুর্তে কিছু যান্ত্রিক কারণে বুধবার এই যাত্রা বন্ধ রাখা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে ৪ মিনিটে অবশেষে সেই ঐতিহাসিক মুহুর্তে দেখল ভারত।
যখন ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির প্রোবা-৩-কে নিয়ে আকাশে উড়ে গেল ভারতীয় রকেট। পার করল একটা একটা করে ধাপ। এভাবে ধাপে ধাপে সাফল্য পার করে তা পৌঁছল ৬০০ কিলোমিটার উপরে মহাকাশে।
প্রসঙ্গত প্রোবা-৩ হল ২টি কৃত্রিম উপগ্রহকে নিয়ে তৈরি। একটি হল করোনাগ্রাফ স্পেসক্রাফ্ট এবং দ্বিতীয়টি অকাল্টার স্পেসক্রাফ্ট। যার কাজ হবে সূর্যের ম্রিয়মাণ করোনা-কে খুব কাছ থেকে পরীক্ষা করা। সোলার রিম-এর কাছে পৌঁছে এই কাজ করবে যানটি।
সেখানেই প্রোবা-৩-র একজোড়া কৃত্রিম উপগ্রহকে তার নির্ধারিত স্থানে প্রতিস্থাপিত করতে সক্ষম হয়েছে ইসরো। এ এক অভাবনীয় সাফল্য হিসাবেই দেখা হচ্ছে।
এক, এই সাফল্যে অন্যদেশের মহাকাশযানকে ভারত থেকে ভারতীয় রকেটে পাঠানোর ব্যবস্থার রাস্তা আরও প্রসারিত হল। দ্বিতীয়ত ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির মত বিশ্বের অন্যতম এক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা যখন ভারতে ভরসা রেখেছে তখন সকলেই ভরসা রাখার সাহস পাবে। ভারতীয় রকেট যে বিশ্বের কাছে কতটা ভরসার হয়ে উঠেছে তা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির এই সাফল্য থেকেই স্পষ্ট।
সাড়ে ৪৪ মিটার উঁচু পিএসএলভি-সি৫৯ যে সাফল্যের সঙ্গে ৫৪৫ কিলোগ্রাম ওজনের জোড়া কৃত্রিম উপগ্রহ প্রোবা-৩-কে নিয়ে মহাকাশে সফলভাবে পৌঁছে গেল তাতে মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারতের আত্মবিশ্বাসও অনেকটাই বেড়ে গেল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা