এবার মহাকাশের সঙ্গে জুড়ে গেল মহাকুম্ভ মেলা
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। সেই ইসরোর সঙ্গে এবার নাম জুড়ল বিশ্বের সর্ববৃহৎ মিলনক্ষেত্রের। যা ভারতের অন্যতম গর্ব। এক মহাযজ্ঞ সম আয়োজন।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। আর প্রয়াগরাজে চলা মহাকুম্ভ। এ দুয়ের আপাতদৃষ্টিতে কোনও সংযোগ থাকা মুশকিল। কিন্তু সেটাই হল। প্রয়াগরাজে চলা মহাকুম্ভের নামের সঙ্গে জুড়ে গেল ইসরোর নাম।
কুম্ভমেলাকে বলা হয় বিশ্বের সর্ববৃহৎ মিলনক্ষেত্রে। যেখানে এবারই মনে করা হচ্ছে পুণ্যার্থীর সংখ্যা ৪৫ কোটি পার করে যাবে। ইতিমধ্যেই তা টেরও পাওয়া যাচ্ছে। পুণ্যস্নানের আশায় কোটি কোটি মানুষ হাজির হন এই পুণ্যভূমিতে। স্নান করে দেহ মনকে পবিত্র করেন ত্রিবেণী সঙ্গমে।
সেখানে প্রশাসনকেও সুবিশাল আয়োজন করতে হয় এত মানুষের সমাগমকে সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য। প্রচুর তাঁবু তৈরি হয় থাকার জন্য। থাকে আখরা। সাধুদের কুটির। সব মিলিয়ে প্রয়াগরাজের এই গঙ্গাপারের বিশাল চত্বর সেজে ওঠে। আর তারই ছবি এবার ধরা পড়ল ইসরোর একটি কৃত্রিম উপগ্রহের ক্যামেরায়।
এটা বলাই হয় যে মহাকাশ থেকে পৃথিবীর যে হাতেগোনা কয়েকটি জায়গা দেখতে পাওয়া যায় তার একটি কুম্ভমেলার সময় পুণ্যস্নানের ত্রিবেণী সঙ্গম। এবার সেই মহাকুম্ভের আয়োজনই ধরা পড়ল রিস্যাট-১এ নামে কৃত্রিম উপগ্রহের ক্যামেরায়।
যেখানে দেখা গেছে মহাকুম্ভের রাস্তা, তাঁবু এবং অস্থায়ী পন্টুন ব্রিজের সারি। উত্তরপ্রদেশ সরকারও এই ছবিগুলির দিকে সর্বদা নজর রাখছে। কৃত্রিম উপগ্রহ মারফত পাওয়া চিত্র দেখে তারা মেলার সুরক্ষা সুনিশ্চিত করছে।
যাতে কোনও দুর্ঘটনা বা পদপিষ্টের মত ঘটনা না ঘটে। সেদিক থেকে সাহায্যই করছে ইসরোর পাঠানো উপগ্রহের পাঠানো মহাকাশ থেকে মহাকুম্ভের চিত্র। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা