এক ডজন গোলে হারলেও কারও কিছু বলার ছিলনা। কিন্তু সেই ম্যাচ ড্র! এদিন চেন্নাইয়ের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধে স্রেফ কপাল জোড়ে ড্রয়ের ধারা ধরে রাখতে পারল মলিনার ছেলেরা। কলকাতার খেলোয়াড়েরা এদিন মাঠে থাকলেও চেন্নাই একাই খেলেছে দ্বিতীয়ার্ধে। তারাই খেলেছে। তারাই গোলে শট করেছে। তারাই মিস করেছে। হাতছাড়া করছে একের পর এক সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই কলকাতাকে খুঁজে পাওয়া যাননি। বরং শেষের দিকে কলকাতাকে দেখে মনে হচ্ছিল খেলা শেষ হলেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচে তারা! এদিন শুরুটা কিন্তু এমন হয়নি। প্রথমার্ধে বেশ দাপট নিয়েই মাঠে ছুটে বেড়াচ্ছিলেন পস্টিগা, হাবি লরারা। খেলার ৩৯ মিনিটের মাথায় প্রীতম কোটালের নিখুঁত ক্রস গোলমুখে পস্টিগার মাথার আওতায় পড়তে আর সময় লাগেনি। ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হেড। যা জড়িয়ে গেল চেন্নাইয়ের জালে।
গ্যালারিতে তেমন উচ্ছ্বাস না থাকলেও মাঠ জুড়ে পস্টিগাকে জড়িয়ে কলকাতার খেলোয়াড়েরা মাতোয়ারা। সাইড লাইনে মলিনার গম্ভীর মুখে ফুটে উঠল হাসি। পস্টিগার গোলে এগিয়ে গেল কলকাতা। যদিও তার আগে একটা গোল হতে হতে হয়নি। পস্টিগারই হেড চেন্নাইয়ের পোস্টে লেগে ফেরত যায়। হায় হায় করে ওঠেন কলকাতার সমর্থকেরা। কিন্তু সেই দুঃখ ৩৯ মিনিটের মাথায় পুষিয়ে দেন পস্টিগা নিজেই। যদিও প্রথমার্ধে চেন্নাইও কম আক্রমণ শানায়নি! আক্রমণ প্রতি আক্রমণের খেলা জমে ওঠে শুরু থেকেই। কিন্তু সেই খেলা কোথায় ভ্যানিস হয়ে গেল দ্বিতীয়ার্ধে! এটা ঠিক বোধগম্য হল না! বরং লাগাতার দ্বিতীয়ার্ধে কলকাতার গোলে আক্রমণ হেনেছে চেন্নাই। ৭৭ মিনিটে সফলও হয়েছে। সুচির গোলে খেলায় সমতা ফিরিয়েছে চেন্নাই। কিন্তু খেলার ফল এটা হওয়ার ছিল না। বরং নিশ্চিত জয় হাতছাড়া করল চেন্নাই। অন্যদিকে কপাল জোড়ে হিউমহীন কলকাতা ড্র পেয়ে লিগ টেবিলে প্রথম চারে থাকার আশা জিইয়ে রাখল।