হার জিত যাই হোক কলকাতার সেমিফাইনালে যাওয়া আটকাচ্ছে না। অন্যদিকে হার জিত যাই হোক পুনের সেমিফাইনালে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। ম্যাচে পাওয়ার যেটা ছিল সেটা হল হাবাস বনাম মলিনার লড়াই। কলকাতার প্রাক্তন কোচের বিরুদ্ধে বর্তমান কোচ কী রণনীতি নেন এবং তার পাল্টা কী রণনীতিতে খেলা এগোন প্রাক্তন কোচ সেটাই ছিল দেখার। আর সেই লড়াইয়ে একশোয় একশো নিয়ে মাঠ ছাড়লেন মলিনা। আপাত নির্বিষ খেলায় মাঠ জুড়ে খেলে কার্যত দাপিয়ে বেড়ালেন মলিনার ছেলেরা। কিন্তু সেটুকুই সার। ৯৫ মিনিটে বিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারলেন না তাঁরা। তবে গোল হতেই পারত। একটা নয়, একাধিক। কিন্তু ওপেন নেট মিস করলে তো গোল হয়না। সেটাই হল। পস্টিগা, দ্যুতি, অর্ণব মণ্ডল বিহীন ম্যাচে হিউম বা পিয়েরসনের সামান্য সময়ের অতিথি উপস্থিতিতে এদিন আক্রমণের দুই প্রধান অস্ত্রই ছিলেন বেলেনকোসো আর হাবি লারা। হাবি নিজের জায়গায় সফল হলেও গোল কিকরে মিস করতে হয় তার একের পর এক উদাহরণ খাড়া করে রেকর্ড গড়লেন বেলেনকোসো। বরং খেলার মত খেলে দেখালেন বাংলার দুই তারকা ফুটবলার রুইদাস ও প্রবীর দাস। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচও হন প্রবীর দাস। কিন্তু সেমিফাইনালের আগে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে খেলতে আসা বিদেশি তারকারা যে নমুনা দেখাচ্ছেন তাতে মলিনার নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। এদিন খেলা শেষ হয় গোলশূন্য ভাবে।