বলের ওপর দখল বেশি। আক্রমণ বেশি। সাজিয়ে মাঝ মাঠ থেকে খেলা তুলে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতাও চেখে পড়ার মত। কিন্তু সব থেকেও শেষ রক্ষা করতে পারছে না অ্যাটলেটিকো দে কলকাতা। খরা কাটিয়ে জয়ের গোলটা বাদ দিয়ে আর সবই মাঠে করে দেখাচ্ছেন হিউম, হাবি লারারা। রবিবার দিল্লির বিরুদ্ধে হিউমের পা থেকে খেলার ১৭ মিনিটের মাথায় গোল পায় কলকাতা। এরপর সুযোগ দিল্লির সামনে এলেও তা গোলে বাস্তবায়িত করতে পারেনি তারা। বরং প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার আগেই পরপর দুটো হলুদ কার্ড দেখার সুবাদে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় দিল্লির বাদজিকে।
একে ১ গোলে এগিয়ে কলকাতা। তায় আবার একজন খেলোয়াড় কম। এই অবস্থায় দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি পায় দিল্লি। কিন্তু চাপ সামলে ওঠার সেই সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। এই অবস্থায় সব কিছুই তখন কলকাতার পক্ষে। কিন্তু কলকাতার বৃহস্পতি নীচস্থ হয়ে যায় খেলার ৬৩ মিনিটের মাথায়। প্রবল চাপে থাকা দিল্লিকে খেলায় ফেরান মিলন সিং। খেলার ৬৩ মিনিটের মাথায় মিলন সিংয়ের অসাধারণ দূরপাল্লার শট জড়িয়ে যায় কলকাতার জালে। সমতা ফেরায় দিল্লি। কিন্তু সে সুখ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৭১ মিনিটের মাথায় দুরন্ত শটে গোল করে ফের কলকাতাকে এগিয়ে দেন হাবি লারা। কিন্তু খেলার তখনও অনেক বাকি! মাত্র ৩ মিনিটের ব্যবধান। তারপরই ফের গোল। এবার গেল করেন দিল্লির মালুদা। ফের সমতায় ফেরে দিল্লি। এরপর মাত্র ১০ জনে খেলা দিল্লির গোলের দোরগোড়ায় বেশ কয়েকবার পৌঁছেও বল তিনকাঠি পার করে পারেনি কলকাতা। এমনকি ইনজুরি টাইমে হাবি লারার একটি পেনাল্টি কর্নার থেকে সাজানো শট গোলে পাঠাতে ব্যর্থ হয় কলকাতা। এদিনের ড্রয়ের পর লিগ টেবিলে ৪ নম্বরে চলে এল তারা।