গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল। কিন্তু এবার যেন শুরু থেকেই ব্যাকফুটে। এবার আইএসএল শুরুই হয়েছিল অ্যাটলেটিকো দে কলকাতার খেলা দিয়ে। কেরালার বিরুদ্ধে তাদের মাঠে ড্র করে কলকাতা। দ্বিতীয় খেলায় প্রতিপক্ষ পুনের বিরুদ্ধে এদিন ঘরের মাঠে যুবভারতীর সবুজ গালিচায় খেলতে নেমেছিল কলকাতা। দর্শকদের সমর্থন, ঘরের মাঠ কিছুই কিন্তু কাজে এলনা এদিন। খেলার শুরু থেকেই পুনের প্রবল দাপটে কোণঠাসা হতে থাকে কলকাতা। শুরুতেই গোল পেয়ে পুনের খেলা এদিন সময়ের সঙ্গে যত খুলেছে, ততই গুটিয়ে গেছে এটিকে। এদিন খেলার শুরুতে ১৩ মিনিটের মাথায় মার্সেলিনহোর গোলে এগিয়ে যায় পুনে। সেই মার্সেলিনহো, যাঁকে এদিনের জয়ের কারিগর বলে মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞেরা।
প্রথমার্ধে ১ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ করার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই খেলার ৫০ মিনিটের মাথায় গোল শোধ দিয়ে দেয় কলকাতা। কিন্তু বিপিন সিংয়ের করা গোলে সমতা ফেরানোর হ্যাংওভার কাটার আগেই ফের গোল খেয়ে বসে এটিকে। মাত্র ১ মিনিট পরই কলকাতার জালে বল জড়িয়ে দলকে ফের এগিয়ে দেন পুনের আর কুমার। ৯ মিনিট পর ফের গোল। ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করেন মার্সেলিনহো। ৩-১-এ এগিয়ে যাওয়ার পর কার্যত ম্যাজিক না হলে কলকাতার জেতার সম্ভাবনা ছিল ক্ষীণ। কিন্তু পুনের পিকচার তখনও বাকি ছিল। ৮০ মিনিটের মাথায় ফের গোল করে পুনে। আলফারোর শট কলকাতার জালে জড়ানোর পর অনেককেই দেখা যায় যুবভারতী ছেড়ে কালো মুখ করে বেরিয়ে যেতে। হবে নাই বা কেন? ঘরের মাঠে ৪-১-এ কলকাতাকে হারতে দেখা কতটা কষ্টের তা বিলক্ষণ বোঝে ফুটবল পাগল কলকাতা।