মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল মহারণ, ফুটছে বাংলা
আজ গোয়ায় হচ্ছে এই মরসুমের প্রথম ডার্বি। করোনা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর এই প্রথম মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি। তবে মোহনবাগান এবার এটিকে মোহনবাগান।
পানাজি : এ লড়াই পুরনো। এ লড়াই বাঙালির রক্তে। নিপাট বাঙালির রক্তও গরম করে দেয় এই লড়াই। বাঙালির একান্ত আপনার এই লড়াই ময়দানের লড়াই। ইলিশ চিংড়ির লড়াই। সবুজ মেরুন বনাম লাল হলুদের লড়াই।
সেই মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল ফের মুখোমুখি হতে চলেছে। তবে এবার যে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হতে চলেছে তার জার্সি বা লোগো এক থাকলেও নামে এসেছে পরিবর্তন। মোহনবাগান এখন এটিকে মোহনবাগান। অবশ্য তাতে সমর্থকদের উৎসাহে এতটুকু ভাটা পড়েনি।
সমর্থকদের কাছে মোহনবাগানই এটিকে মোহনবাগান। আর ইস্টবেঙ্গলের কাছে তাদের পুরনো ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। ২ দলের সমর্থকেরাই হারতে পছন্দ করেননা। তবে অন্য দলের কাছে হার তাঁদের কষ্ট দিলেও তা ডার্বি হারের সমতুল নয়।
অন্যদিকে জিতটাও অন্য দলের সঙ্গে জেতা আর ডার্বি জেতা তাঁদের কাছে এক নয়। তবে এবার ২ দলের সমর্থকেরাই থাকবেন টিভির পর্দার সামনে। কারণ ২ দল মাঠে নামছে গোয়ায়। ফলে ভার্চুয়ালি গলা ফাটানোই এখন দলকে সমর্থনের একমাত্র জায়গা।
এটিকে-র কোচ এখন এটিকে মোহনবাগানের কোচ। সেই আন্তোনিও হাবাস এই প্রথম হয়তো ডার্বির উত্তাপ গায়ে মাখতে চলেছেন। হয়তো তাঁর কাছে পরিস্কার এই ম্যাচের গুরুত্ব। ফলে তিনি তাঁর মত করেই অস্ত্রে শান দেবেন। আর মাঠে তাঁর প্রধান অস্ত্রের নাম যে রয় কৃষ্ণা তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। দলে মাইকেল সুসাইরাজ না থাকাটা অবশ্য এটিকে মোহনবাগানের জন্য বড় ধাক্কা। একথা মেনে নিচ্ছেন কোচও। তবে মোহনবাগানের হাতে বিকল্পও রয়েছে।
অন্যদিকে লাল হলুদ কোচ রবি ফাওলার-এর প্রধান ভরসা পিলকিংটন। সাধারণত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলাতে পছন্দ করেন ফাওলার। অন্যদিকে মোহনবাগান কী এদিন রক্ষণেই বেশি জোর দেবে? এর উত্তর মেলেনি। হাবাস তার কোনও ইঙ্গিত দেননি। তবে প্রথম ম্যাচে ২ জন স্ট্রাইকার দিয়ে খেলিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন রক্ষণ সামলেই ঝাঁপাবেন তিনি।
তিলক স্টেডিয়ামে যে এদিন কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়বে না তা পরিস্কার। আর এই অতিমারি পরিস্থিতিতে প্রিয় দলকে মাঠে গিয়ে সমর্থন করতে না পারলেও পাড়ায় পাড়ায় সমর্থকেরা ফুটছেন সকাল থেকেই। অনেক জায়গায় পতাকাও টাঙানো হয়েছে প্রিয় দলের। ডার্বি-র এই উত্তাপটাই আদি অনন্তকাল ধরে উপভোগ করে আসছে বাংলা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা