ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে আইএসএল টেবিলের ১ নম্বরে মোহনবাগান
চলতি আইএসএল-এর প্রথম মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ ড্র হয়েছিল। ফিরতি ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতল মোহনবাগান। সেই সঙ্গে লাল হলুদকে হারিয়ে পৌঁছল টেবিলের মাথায়।
খেলা শুরুর পর মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ২ দলকেই একটু অগোছালো লাগছিল। ডার্বির চাপের কারণেও তা হতে পারে। খেলার প্রথম ১০ মিনিট এভাবেই কাটে। খেলায় উত্তেজনা প্রথম তৈরি হয় খেলার ১৪ মিনিটের মাথায়। যখন মোহনবাগান গোলের সামনে মোহন গোলকিপার বিশাল কায়েত ফাউল করে বসেন লাল হলুদের ক্লেটন সিলভাকে।
পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ আসে সামনে। কিন্তু ক্লেটনের করা সেই পেনাল্টি বাঁচিয়ে দেন বিশাল। এটাই যেন মোহনবাগানের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায়।
খেলায় ফেরে সবুজ মেরুন। শুরু হয় ইস্টবেঙ্গল গোলে একের পর এক আক্রমণ। পেনাল্টি নষ্ট করার পর ইস্টবেঙ্গলকে সেভাবে আক্রমণে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং মোহনবাগান আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে।
খেলার ২৭ মিনিটের মাথায় কামিন্সের পা থেকে আসে প্রথম গোল। মোহনবাগান সমর্থকেরা আনন্দে উল্লাস করে ওঠেন। ১ গোলে এগিয়ে যাওয়া মোহনবাগান যেন আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে মাঠে।
দ্বিতীয় গোলটি আসে ১০ মিনিট পর। ৩৭ মিনিটের মাথায় দিমিত্রি পেট্রাটোসের জোড়াল শট গোলপোস্টে লেগে ফেরত আসার পর দিমিত্রি ফিরতি বল পাঠান গোলের সামনে ফাঁকা দাঁড়িয়ে থাকা কোলাসোর পায়ে।
কোলাসো পায়ের ছোঁয়ায় বল গোলে ঠেলে দেন। মোহনবাগান ২ গোলে এগিয়ে যায়। হাফটাইমের আগে অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। শট নিতে আসেন পেট্রাটোস।
তাঁর জোড়াল শট ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপারের হাতে লেগে গোলে ঢুকে যায়। মোহনবাগান এগিয়ে যায় ৩ গোলে। হাফটাইমেই ৩ গোলে এগিয়ে থাকায় অনেক মোহন সমর্থকই ভাবছিলেন যদি ১৯৭৫ সালে ইস্টবেঙ্গলের কাছে আইএফএ শিল্ডে ৫ গোল হজম করার সেই তিক্ত স্মৃতির উত্তর দেওয়া যায় এই ম্যাচে।
হাফটাইমের পর খেলতে নেমে শুরুতেই ফাঁকা গোলের সামনে বল পেয়েও মোহনবাগান সুযোগ নষ্ট করে। খেলার ৫৩ মিনিটের মাথায় কিন্তু মোহন জালে বল জড়াতে এতটুকুও ভুল করেননি লাল হলুদের ক্রেসপো।
সুদক্ষ শটে জালে বল জড়িয়ে লাল হলুদকে খেলায় ফেরান তিনি। ১ গোল শোধ করে ইস্টবেঙ্গল। এরপর ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ বজায় রেখেছিল ঠিকই কিন্তু জালে আর বল জড়ায়নি।
পাল্টা মোহনবাগানকে দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা রক্ষণাত্মক লাগলেও বেশ কয়েকটি সুযোগ তারাও নষ্ট করে। খেলা শেষ হয় ৩-১ ব্যবধানে।
প্লে অফে খেলা তো আগেই নিশ্চিত হয়েছিল। এবার ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে আইএসএল টেবিলের মাথায় পৌঁছে গেল মোহনবাগান।
এদিকে এদিন খেলা শেষের পর রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইস্টবেঙ্গল। যাকে ঘিরে উত্তেজনাও সৃষ্টি হয়। খেলায় ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন দিমিত্রি পেট্রাটোস।