ফের ডার্বির রং সবুজ মেরুন, খেলা শুরুর গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারাল মোহনবাগান
ডার্বির রং সবুজ মেরুন। খেলা শুরুর পর দর্শকরা ভাল করে সিটে বসার আগেই হল গোল। তাতেই ডার্বি ঘরে তুলল মোহনবাগান।
আইএসএল-এর টেবিলের দিকে নজর দিলে মোহনবাগান একদম মাথায় অবস্থান করছে। সে তুলনায় ইস্টবেঙ্গলের অবস্থান অনেকটাই টেবিলের তলার দিকে। তবে তা ডার্বিতে কখনও প্রভাব ফেলে না। মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল লড়াই সর্বদাই চিত্তাকর্ষক, রোমহর্ষক, টানটান।
কলকাতা ডার্বি মানেই ২ দলের দর্শকদের স্নায়ুর লড়াই। আইএসএল-এ ফিরতি ম্যাচে মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হয় শনিবার। গুয়াহাটির স্টেডিয়ামে ২ পক্ষের সমর্থকের অভাব হয়নি।
খেলা শুরুর পর দর্শকরা খেলায় মনঃসংযোগ করার আগেই কিন্তু এদিন ডার্বির ফয়সালা হয়ে যায়। খেলা শুরুর ২ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের জেমি ম্যাকলারেন বল ঠেলে দেন ইস্টবেঙ্গলের জালে।
সে বল জালে জড়াতেই মাঠ কাঁপিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন মোহন সমর্থকেরা। খেলার শুরুতেই ১ গোলে এগিয়ে যাওয়া অবশ্যই মনোবলের দিক থেকে এগিয়ে থাকা। সেটাই হল মাঠে।
এরপর খেলা চলতে থাকে। ২ পক্ষই একে অপরের গোলে হানা দিতে থাকে। কিন্তু জালে বল জড়ায়নি। এদিন শুরুতেই গোল করে এগিয়ে যাওয়া মোহনবাগানকে পরে একটু মন্থর বলেই মনে হয়েছে। তুলনায় ইস্টবেঙ্গলের চেষ্টা ছিল।
কিন্তু সেভাবে গোলমুখ খোলার দক্ষতা তারা দেখাতে পারেনি। মোহনবাগান অনেক সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু তা গোলে রূপান্তরিত করতে পারেনি। বরং ৬৪ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখে ইস্টবেঙ্গলের সৌভিক মাঠ ছাড়ার পর বাকি সময়টা তারা ১০ জনে লড়াই করেছে।
সেখানে ১১ জনে মিলেও ইস্টবেঙ্গলের গোল মুখ খুলে উঠতে ব্যর্থ মোহনবাগান। তবে খেলা শুরুর গোলেই খেলা শেষের বাঁশি শুনে আনন্দে মেতে ওঠেন মোহন সমর্থক থেকে খেলোয়াড়েরা।
ডার্বি জয় সর্বদাই অন্যরকম এক আনন্দ দেয়। সেটাই এদিন উপভোগ করেন মেরিনার্সরা। প্রসঙ্গত চলতি আইএসএল-এর প্রথম ডার্বিতেও ইস্টবেঙ্গলকে হারতে হয়েছিল মোহনবাগানের কাছে। ফিরতি ম্যাচেও সেটাই হল।
এদিনের জয়ের পর আইএসএল টেবিলে অনেকটাই এগিয়ে গেল মোহনবাগান। শীর্ষ স্থানে থাকাই নয়, অনেকটা পয়েন্টে এগিয়ে থাকল মোহনবাগান।