চন্দন কাঠের মূল্য সম্বন্ধে নতুন করে কাউকে জানানোর দরকার পরে না। সকলেই জানেন এ কাঠের সামান্য টুকরোর দাম যথেষ্ট। শ্বেত চন্দনের দামই যথেষ্ট। আর রক্তচন্দন হলে তো কথাই নেই। দাম আরও চড়া। তেমনই রক্তচন্দন ধরা পড়ল দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। টুকরো নয়, ১৬০ কেজি রক্তচন্দন ধরা পড়েছে দেশের এই অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দরে। যথেষ্ট সুকৌশলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলেও সিআইএসএফ-এর নজর এড়াতে পারেনি অভিযুক্তেরা।
সুকৌশলে যে এই রক্তচন্দন কাঠ পাচার করার চেষ্টা চলছিল তা মেনে নিতেই হয়। কারণ যে ৩ জন ব্যক্তি এই রক্তচন্দন নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে তাদের মধ্যে ১ জন তো সব পরীক্ষা পার করে বিমানে উঠেও পড়েছিল। পরে সব জানা যেতে তাকে বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয়। তারপর গ্রেফতার করা হয়। সিআইএসএফ এই ৩ জনকে গ্রেফতার করে কাস্টমস বিভাগের হাতে তুলে দেয়।
যে ১৬০ কেজি রক্তচন্দন পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল তার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৩ লক্ষ টাকা। এই বহুমূল্য কাঠ কার বা কাদের দিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ধৃতদের ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনাল থেকে পাকড়াও করা হয়। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে চন্দনকাঠ পাচার চক্রের মূলে পৌঁছনো যাবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা