ঘটনাটা আজকের নয়। সময়ের সরণী পেরিয়ে মাঝখানে কেটে গেছে ৩টে বছর। তবু সেই হাড় হিম করা ঘটনায় আজও শিউড়ে ওঠেন মানুষ। সময়টা ২০১৫ সালের নভেম্বর মাস। স্থান ইন্দোনেশিয়ার পেনুমাঙ্গান লামা গ্রাম। ওই গ্রামের যুবক রুডি এফেনডির সঙ্গে বিয়ে হয় নুরিয়া নামে এক যুবতীর। ফুলশয্যার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হয় বছর ৩০-এর যুবক। স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার পরই সে বুঝতে পারে, বিয়ের আগেই কুমারীত্ব হারিয়েছে স্ত্রী। এই বিষয়ে স্ত্রীকে চেপে ধরলে স্বামীর কাছে সত্যিটা স্বীকার করে নেন নুরিয়া।
তিনি জানান, বিয়ের কয়েক সপ্তাহ আগে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক ডেটিংয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। এই কথা শুনে স্ত্রীর অভিযুক্ত প্রেমিকের ওপর রাগে জ্বলে ওঠে রুডির সাড়া শরীর। স্ত্রীকে দিয়ে প্রেমিককে ফোন করায় সে। নির্দিষ্ট দিনে স্ত্রীর প্রেমিক রুডির সঙ্গে গ্রামের এক নির্জন জায়গায় সাক্ষাৎ করে রুডি এফেনডি। তারপর ধারালো অস্ত্রের কোপে তার শরীর ফালাফালা করে দেয়। এক কোপে কেটে ফেলে তার পুরুষাঙ্গও। এরপর স্ত্রীর পূর্বতন প্রেমিকের দেহ তারই গাড়িতে ঢুকিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এখানেই প্রতিশোধের নারকীয় যজ্ঞ শেষ হয়নি। স্ত্রীর ধর্ষকের রক্তমাখা পুরুষাঙ্গটি বাড়িতে নিয়ে আসে সে। স্ত্রীকে বলে, ভালো করে পুরুষাঙ্গটি রাঁধতে। স্বামীর কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে নুরিয়া। ভালো করে প্রেমিকের কাটা পুরুষাঙ্গ ভেজে স্বামীকে দেয়। স্বামী-স্ত্রী ২ জনেই সেই ‘ফ্রায়েড পেনিস’ পেটে চালান করে দেয়। পরে গ্রামের ভিতর গাড়িতে নুরিয়ার প্রেমিকের পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সন্দেহ হওয়ায় রুডি এফেনডি ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। জেরায় স্ত্রীর ধর্ষককে পরিকল্পনা করে খুন করা থেকে শুরু করে তার পুরুষাঙ্গ কেটে ভেজে খাওয়ার কথা স্বীকার করে রুডি এফেনডি।