বাড়ির পালিত পশুদের খাবারের জন্য ঘাস জোগাড় করতে কাছের একটি খামারে ঢুকেছিলেন এক গ্রামবাসী। সেই খামারটি আবার ছিল কুমিরদের নিশ্চিন্ত আশ্রয়। সেখানে শয়ে শয়ে কুমিরের বাস। কুমিরদের রক্ষা করতেই এই খামার। সেখানে ওই ব্যক্তি ঘাস জোগাড় করতে ঢুকে একটি কুমিরের কবলে পড়েন। কুমিরটি তাঁকে থেঁতলে মেরেও ফেলে। খবর গ্রামে যেতেই ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশের ওই এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে।
গ্রামবাসীরা বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রামের এত কাছে এমন কুমির প্রতিপালনের খামার রাখা যাবে না বলেও দাবি করেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও তাঁদের রাগ মেটেনি। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পর ধারালো অস্ত্র, শাবল নিয়ে তাঁরা ওই খামারে ঢুকে পড়েন। তারপর নির্বিচারে শুরু হয় তাঁদের কুমির হত্যা। একটাও কুমির তাঁদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০টির মত কুমির তাঁরা একদিনে হত্যা করেন। তারপর সেই মৃত কুমিরগুলিকে একের ওপর আর একটা ফেলে ঢিপি তৈরি করেন। কুমিরদের রক্তে তখন ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। গ্রামবাসীদের এভাবে আক্রোশ মেটানোর খবর ছড়িয়ে পড়তে বিশ্ব জুড়েই ছি ছি পড়ে গেছে। এভাবে এক লহমায় এতগুলো কুমির হত্যাকে কেউই ভাল চোখে নিচ্ছেন না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।