
ভূমিকম্পের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার মানুষের দৈনন্দিন বসবাস। প্রায়শই কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন দ্বীপের মাটি। তবে তা তেমন ভয়ংকর হয়না। হাল্কা কম্পন অনুভূত হয় মাত্র। কিন্তু রবিবার সকালে ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম পর্যটনস্থল লোম্বক দ্বীপে যে কম্পন অনুভূত হল তার কম্পনের মাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৬.৪। অর্থাৎ তীব্র ভূমিকম্প। কম্পন অনুভূত হয় প্রায় ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড। আর তাতেই তছনছ হয়ে গেল বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেঙে পড়ল একের পর এক বাড়ি। ১ হাজারের ওপর বাড়িতে ফাটল ধরে গেছে। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। আহত শতাধিক। ভেঙে পড়েছে গাছ, ল্যাম্পপোস্ট।
রবিবার ছুটির দিন। তাই সকাল ৭টা নাগাদ গোটা লোম্বক দ্বীপের বড় অংশের মানুষ ঘুমে। ঠিক সেইসময়েই প্রবল কম্পন অনুভূত হয়। পড়িমরি করে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মানুষজন। ফাঁকা জায়গায় আশ্রয় নেন। পুকুর বা সুইমিং পুলের জল দুলতে থাকে। প্রথম কম্পনের পর এদিন বেলা পর্যন্ত বারবার কেঁপে উঠেছে গোটা এলাকা। তবে আফটার শকগুলি অতটা ভয়ংকর ছিলনা। লোম্বক থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে জলের তলায় ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। কম্পনের পরই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। প্রবল আতঙ্ক ছড়ায় ইন্দোনেশিয়ার অন্যান্য দ্বীপেও।
(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার)