সোনার খনি থেকে চলছিল বেআইনি সোনা খনন। বেআইনি সোনা খনন করতে গিয়ে একের পর এক সোনার খনিতে অজস্র গর্ত খোঁড়া হয়। সেখান দিয়ে খনি শ্রমিকদের ঢুকিয়ে দেওয়া হয় খনিতে। তারপর বেআইনিভাবে লুকিয়ে তুলে আনা হয় আকরিক সোনা। এ প্রচলন ইন্দোনেশিয়ার কিছু সোনার খনিতে নতুন নয়। তেমনই একটি খনিতে চলছিল বেআইনি খনন। এদিকে প্রচুর গর্ত খুঁড়ে খনি গর্ভে প্রবেশ করতে গিয়ে উপরের মাটি ক্রমশ আলাদা হয়ে যায়। যার জেরে মাটি ধরে থাকার স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিস্থিতি দুর্বল হতে থাকে। আর ঠিক এই কারণেই বিভিন্ন খনিতে নামে ধস। অন্তত এমনই মনে করছেন ইন্দোনেশিয়ার খনি বিশেষজ্ঞেরা।
এমনই একটি সোনার খনি রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের বাকান গ্রামে। সেখানেই গত মঙ্গলবার রাতে ধস নামে। ধসে চাপা পড়ে খনিগর্ভে ১ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ১৩ জন শ্রমিক ধসে আহত হন। বহু শ্রমিক খনিরে নিচে ধসের তলায় চাপা পড়ে যান। তাঁদের উদ্ধার করতে সবরকম চেষ্টা শুরু করে প্রশাসন।
উদ্ধারকারীদের ধারণা প্রায় ৬০ জন শ্রমিক ধসে নামা মাটি, পাথর ও বড় মাটির চাঁইয়ের তলায় চাপা পড়ে যান। তাঁদের এক এক করে উদ্ধার করে আনা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)