সোমবার সকালে হওয়া ভূমিকম্প কেড়ে নিল ৩টি প্রাণ। নেহাতই ছুটির মজা উপভোগ করতে ইন্দোনেশিয়ার লোম্বক দ্বীপে হাজির হয়েছিলেন পর্যটকেরা। দেশ বিদেশ থেকে পর্যটক এখানে উপস্থিত হন সারা বছর। আগেও লোম্বক দ্বীপ ভয়ংকর কম্পনের শিকার হয়েছিল। তছনছ হয়ে গিয়েছিল গোটা দ্বীপ। তারপর ফের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পর্যটন ফিরেছে। সেখানেই এদিন কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনের মাত্রা খাতায় কলমে কিন্তু তেমন ছিলনা। রিখটার স্কেলে ৪.৪। যাকে মাঝারি কম্পন হিসাবেই ধরে নেওয়া হয়। এমন কম্পনে আতঙ্ক ছড়াতে পারে। কিন্তু হতাহতের ঘটনা বড় একটা ঘটেনা। কিন্তু এই মাঝারি কম্পনই কেড়ে নিল ৩টি প্রাণ।
সোমবার ৩৮ জনের একটি পর্যটক দল লোম্বক দ্বীপে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট রিঞ্জানি-র কাছে কেলেপ ঝরনার তলায় আনন্দ করছিলেন। ঝরনার জল, আশপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রাণভরে উপভোগ করছিলেন। ঠিক সে সময়েই কম্পন অনুভূত হয়। আর কম্পনের হাত ধরে শুরু হয় পাহাড়ের গা বেয়ে ধস। সেই ধসেই চাপা পড়ে যান পর্যটকেরা। ৩৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও ধসের তলায় পড়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের।
৩ মৃত পর্যটকের মধ্যে ২ জন মালয়েশিয়ার বাসিন্দা। অন্যজন ইন্দোনেশিয়ারই বাসিন্দা। জলের ২৪ কিলোমিটার নিচে ছিল কম্পনের কেন্দ্রস্থল। প্রসঙ্গত ইন্দোনেশিয়া প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ারের ওপর অবস্থিত। ফলে এখানে ভূমিকম্প নতুন কিছু নয়। এদিন যে ৩৫ জনকে ধসের তলা থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁদের মধ্যে ২০ জনের গুরুতর আঘাত লেগেছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা