হয়তো বিবাহিত, কিন্তু অন্য মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রয়েছে। অথবা হয়তো বিয়ে এখনও হয়নি। তার আগেই যুবক-যুবতীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। কেউ আবার নাবালিকার সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হয়েছে। এমনই নানাভাবে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপনের জেরে স্থানীয় আইন মেনে শাস্তি পেলেন ১১ জন। যাঁদের মধ্যে ৫ জন মহিলা ও ৬ জন পুরুষ। শাস্তি হল চাবুক দিয়ে মার। তাও একদম প্রকাশ্যে। মানুষ ঘিরে দাঁড়িয়ে দেখলেন এমন কাণ্ডের সাজা কী ভয়ংকর হতে পারে।
৫ জন মহিলা ও পুরুষের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। তাঁরা প্রত্যেকেই মুসলিম। একাদশ শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তি একজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে এক নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন তিনি। এঁদের প্রত্যেককে একটি মসজিদের সামনের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সকলের সামনে চাবুক পেটা করা হয়। তবে চাবুকের ঘায়ের সংখ্যা ছিল এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম। ৮ থেকে ৩৩ ঘা পর্যন্ত চাবুক পেটার শাস্তি হয় তাঁদের।
ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার এচে প্রদেশে। বিশ্বের মধ্যে এই প্রদেশই একমাত্র জায়গা যেখানে কঠোরভাবে ইসলামিক আইন মানা হয়। শরিয়ত নিয়ম মেনে শাস্তি বিধান করা হয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলি এখানকার শাস্তি বিধান নিয়ে বারবার সোচ্চার হয়েছে। দাবি করা হয়েছে এখানে যে আইন মানা হয় তা মধ্যযুগীয় বর্বরতা। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। ওই এলাকায় এখনও সেই পুরাতনি আইন মেনে চাবুক মারার রীতিও চালু রয়েছে। যেখানে রাস্তার ওপর মহিলাদেরও চাবুক পেটা করতে কুণ্ঠা বোধ করেননা এঁরা।
অবৈধ সম্পর্ক ছাড়াও জুয়া খেলা, অবৈধ যৌনতা, মদ্যপান-এর মত ঘটনা ঘটলে সেক্ষেত্রেও শাস্তি চাবুক পেটা। তবে কোন অপরাধে কটা চাবুকের ঘা পড়বে তা ওখানেই স্থির করা হয়। যা ২০০টা পর্যন্তও হতে পারে। সব ধরনের চাবুক পেটাই হয় রাস্তার ওপর। মানুষের সামনে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা