রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা যদি ৬.৩ পাওয়া যায় তাহলে তা তীব্র কম্পন বলেই ধরা হয়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তেমনই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বালি। সকলে তখন ঘুমের দেশে। স্থানীয় সময় রাত ১টা ১২ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। থরথর করে কেঁপে ওঠে গোটা দ্বীপ। পর্যটকদের ভিড় সারা বছরই বালির ওপর থাকে। সেখানে কম্পন শুধু স্থানীয়দেরই আতঙ্কিত করেনি। বিদেশি পর্যটকদেরও আতঙ্কিত করে তোলে। অনেকেই তড়িঘড়ি ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেরিয়ে আসেন।
ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপ বালি প্রধানত বিখ্যাত তার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য। ফলে এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। জাভা থেকে ৬৯ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের ৬৩৬ কিলোমিটার তলায় ছিল কম্পনের কেন্দ্রস্থল। এত বড় কম্পন হলেও কিন্তু কোনও সুনামি সতর্কতা জারি হয়নি। কারণ সমুদ্রের এতটাই তলায় ছিল কম্পনের কেন্দ্রস্থল যে সেখান থেকে সুনামি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।
পড়ুন : প্রবল কম্পন, ৬.৬ মাত্রায় কেঁপে উঠল জমি
বালি দ্বীপটা এতটাই সুন্দর যে সারাবছর পর্যটকরা প্রকৃতির টানে, সমুদ্রের টানে, এখানকার সোনালি বালুকাবেলার টানে ছুটে আসেন। হিসাব বলছে প্রতি মাসে ৭ লক্ষ পর্যটক বালিতে হাজির হন। ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন মানচিত্রের তাই মধ্যভাগে রয়েছে বালি। এখান থেকে ভাল রোজগার হয় দেশের। সেখানে ভূমিকম্প হলে তা পর্যটকদের আনাগোনায় ধাক্কা দেয়। তবে এদিন কম্পনের মাত্রা বড় হলেও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা