করোনা উদ্বেগের মধ্যেই জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি
আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসা ছাই উড়তে থাকে বাতাসে। ছড়িয়ে পড়তে থাকে দূর দূর পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞেরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন।

জেগে উঠেছিল গত শুক্রবারই। ওদিনই ২ বার জ্বালামুখ থেকে বেরিয়ে আসে প্রচুর ধোঁয়া। বেরিয়ে আসে সাদা ছাই। ৪০ মিনিট ধরে চলে অগ্নুৎপাত। যদিও এই আগ্নেয়গিরি মাঝেমধ্যেই জেগে ওঠে। দেশের সবচেয়ে বেশি অগ্নুৎপাত হয় এই আগ্নেয়গিরি থেকেই। শুক্রবার থেকে জেগে ওঠা সেই এনাক ক্রাকাতোয়া থেকে বেরিয়ে আসা সাদা ছাই ও ধোঁয়া পৌঁছে যায় ৫০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত। আকাশ ছেয়ে যায়।
আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসা ছাই উড়তে থাকে বাতাসে। ছড়িয়ে পড়তে থাকে দূর দূর পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞেরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। তবে তাঁদের একটাই শান্তি। যেখানে এই আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে সেই সান্দা স্ট্রেট দ্বীপে কোনও মানুষের বসবাস নেই।
একটি ছোট দ্বীপ। কিছু গাছপালা। বালুকাবেলা। চারধারে সমুদ্র আর আগ্নেয়গিরি। ১৯২৭ সালে এই আগ্নেয়গিরিটি জলের তলা থেকে উপরে উঠে আসে। তারপর থেকে প্রায় অগ্নুৎপাত হয় এখান থেকে।
তবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এই আগ্নেয়গিরি থেকে এমন অগ্নুৎপাত হয় যে প্রচণ্ড ধস শুরু হয়। আর সেই প্রবল ধসের জেরে সুনামি তৈরি হয়। সেই জলে ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও সুমাত্রার মত দ্বীপে বিশাল জলোচ্ছ্বাস হয়। তাতে কয়েক শো মানুষের মৃত্যু হয়। কারণ সে সময় ক্রিসমাসের ছুটিতে দেশবিদেশের বহু মানুষ ওই দ্বীপগুলিতে ছুটি কাটাতে উপস্থিত হয়েছিলেন। আর ঠিক তখনই সুনামি হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা