পাথরের ঘায়ে টিনের চালা ভাঙতেই রাতারাতি কোটিপতি
বাড়ির বারান্দাটা ঢাকা টিনের চালা দিয়ে। সেই টিনের চালার ওপর পাথর পড়তেই তা ভেঙে যায়। আর রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান বাসিন্দা।
জাকার্তা : গত অগাস্ট মাসের কথা। বাড়ির চত্বরেই কাজ করছিলেন এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। হঠাৎ এক বিকট আওয়াজে তিনি চমকে ওঠেন। কি যেন একটা আছড়ে পড়ল তাঁর বারান্দার চালে।
বাড়ির বারান্দাটা টিনের চাল দিয়ে ঢাকা। সেই টিনের চালের ওপরই কিছু একটা এসে আছড়ে পড়েছে। প্রথমে ওই ব্যক্তি ভাবেন কেউ হয়তো পাথর বা ইট ছুঁড়েছে।
তিনি ছুটে যান কী হয়েছে দেখতে। দেখেন তাঁর টিনের চালা গেছে পাথরের আঘাতে ভেঙে। আর যে পাথরটার জন্য এই কাণ্ড সেটা পড়ে আছে বারান্দায়।
পাথরটা তুলে নেওয়ার পর কিন্তু জোসুয়া হুতাগালুং বুঝতে পারেন এ পাথর সাধারণ পাথর নয়। পাথরটা আকারেও বড়। ওজন ২ কেজি ১০০ গ্রাম। জোসুয়া এবার ওই পাথরটা ঠিক কোথা থেকে এল খতিয়ে দেখা শুরু করেন। আর তাতে যা জানতে পারেন তাতে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ।
ও পাথর এ পৃথিবীরই নয়। তা উড়ে এসেছে মহাকাশ থেকে। তিনি জানতে পারেন ওটা আসলে একটা উল্কাখণ্ড। যার মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে চৌম্বকীয় পদার্থ রয়েছে।
এটাও জানতে পারেন ওই পাথর যে কার্বনেসিয়াস কনড্রাইট দিয়ে তৈরি তা অতি বিরল। ফলে ওই মহাজাগতিক পাথরের মূল্য যে কতটা তা বুঝতে আর অসুবিধা থাকেনা জোসুয়ার।
জোসুয়া ওই পাথরখণ্ডটি বিক্রি করে দেন। বিক্রি করেন এক মার্কিন পাথর সংগ্রাহকের কাছে। তিনি ঠিক কত টাকায় ওটা বেচে দিয়েছেন তা না জানালেও জোসুয়া এটা স্বীকার করেছেন যে ওটা তিনি ১০ লক্ষ পাউন্ডের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করেছেন। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৯ কোটি ৮৩ লক্ষের কিছু বেশি হয়। তিনি ওই দামেই পাথরটা বেচে দিয়েছেন বলে ধরে নিলেও জোসুয়া রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছেন।
যে ব্যক্তি ওই পাথরটি সংগ্রহ করেন তিনি আবার সেটা নিজের কাছে রাখেননি। তিনিও সেটা আরও বেশি দামে বিক্রি করে দিয়েছেন। আপাতত পাথরটি রাখা রয়েছে অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে।
জোসুয়া ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার বাসিন্দা। পেশায় কফিন তৈরি করেন তিনি। তাঁর কফিন তৈরির ব্যবসা রয়েছে। একটা পাথরের টুকরো তাঁর টিনের চালায় পড়ে জোসুয়ার জীবনটাই রাতারাতি বদলে দিল।