জেগে উঠেছে আগ্নেয়গিরি, আকাশে গরম মেঘ, ফুটছে নদীর জল
আগ্নেয়গিরি জেগে উঠলে তার রোষে পড়ে আকাশ, বাতাস থেকে অরণ্য, জনবসতি, নদী, নালা সবই। মেরাপি-র জেগে ওঠা আকাশে ছড়াচ্ছে গরম মেঘ।
আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে গলিত লাভার স্রোত যেমন বেরিয়ে আসে তেমনই হয় বিস্ফোরণ। ছিটকে বার হয় লাভা, গরম ছাই। আকাশ ছেয়ে যায় ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে। তৈরি হয় গরম মেঘ। যেমনটা হল ইন্দোনেশিয়ার মেরাপি আগ্নেয়গিরি জেগে উঠতে।
সক্রিয় আগ্নেয়গিরির দলেই পড়ে মেরাপি। ফলে সেখানে অগ্নুৎপাত নতুন নয়। গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে ৩ বার পরপর কখনও দেড় মিনিট তো কখনও ২ মিনিট ধরে জ্বালামুখ থেকে গরম মেঘ বার হয়ে আকাশ ঢেকে দেয়। জ্বালামুখ থেকে ২ কিলোমিটার পর্যন্ত আকাশ ছেয়ে যায় গরম মেঘে।
পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন থেকে বিজ্ঞানীরা। সাধারণ মানুষকে মেরাপির ৩ কিলোমিটার ব্যসের মধ্যে আসতে মানা করা হয়েছে।
মেরাপি থেকে বেশ কিছু নদী তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কানিং, বয়ং, ক্রাসাক, বেবেং এবং পুতি নদী। অগ্নুৎপাত শুরু হওয়ার পর এই নদীর জল থেকে সকলকে দূরে থাকতে পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।
নদীর জল তেতে উঠেছে আগ্নেয়গিরির জেগে ওঠায়। তাতে লাভা মিশতে পারে। ফলে এসব নদীর থেকে দূরত্ব রাখতে পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।
মেরাপি মধ্য জাভা প্রদেশে অবস্থিত। মেরাপি আগ্নেয় পাহাড়ের উচ্চতা ২ হাজার ৯৬৮ মিটার। ২০১০ সালেও ভয়ংকর রূপ নিয়ে জেগে উঠেছি মেরাপি।
সেবার ২০০ জন মানুষের মৃত্যু হয় মেরাপির কোপে। বহু মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষতি হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা