৬ বছর ধরে গলায় টায়ার জড়িয়ে ঘুরছে কুমির
৬ বছর ধরে গলায় টায়ার জড়িয়ে ঘুরছিল একটি কুমির। যা তার জীবনও শেষ করে দিতে পারত। কিন্তু সে সম্ভাবনা আর রইল না।
তার চেহারা যখন অনেকটা ছোট তখনই তার গলায় কোনওভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল একটি টায়ার। মোটা টায়ারটি তখন তার গলায় জড়িয়ে গেলেও তা ঢলঢলে ছিল।
কুমির যদি তার কাছে কাউকে ঘেঁষতে দিত তাহলে তা যে কেউ বার করে নিয়ে তাকে মুক্তি দিতে পারত। কিন্তু কুমিরের ধারেকাছে যাওয়ার ঝুঁকি নেওয়া মুশকিল ছিল। যে কজন এই চেষ্টা করতেও গেছেন তাঁরাই বিফল হয়েছেন।
এদিকে কুমির ছোট থেকে বড় হয়েছে। আর যতই বড় হয়েছে ততই তার গলায় ক্রমশ এঁটেছে টায়ারটি। এমন করেই ৬ বছর কেটে গেছে।
এদিকে গলাটা শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মোটা হয়েছে। আর তাতেই ক্রমশ গলায় থাকা টায়ার এঁটে বসেছে। চেহারা একটু মোটা হলেই কুমিরটির শ্বাস রোধ হয়ে যেতে পারত। এটা দেখার পর অনেকেই চেষ্টা করেছেন কুমিরটির কাছে যাওয়ার। কিন্তু ১৩ ফুটের কুমিরের কাছে ঘেঁষা সম্ভব হয়নি।
শেষমেশ কুমিরটিকে বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিলেন এক স্থানীয় মানুষ। ইন্দোনেশিয়ার পালু নামে শহরের মানুষ এই টায়ার গলায় কুমিরকে বিলক্ষণ চেনেন। চেনেন তার গলায় টায়ার ঝোলে বলেই।
স্থানীয় এক বছর ৩৫-এর ব্যক্তি টিলি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুরগির লোভ দেখিয়ে কুমিরটিকে একটি দড়ির ফাঁসে জড়িয়ে ফেলেন। তারপর খুব দ্রুত তার কাছে গিয়ে গলা থেকে টায়ার খুলে নেন।
কুমিরটি টায়ারের ফাঁস থেকে মুক্তি পেয়ে এখন বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশ্ন হল সে কি বুঝতে পারল তাকে বাঁচাতে তার গ্রাস যাওয়ার মত বড় ঝুঁকি নিয়েছিলেন টিলি। এ উত্তর কেবল কুমিরই দিতে পারবে।