একটা ঘটনার জেরে গোটা স্টেডিয়ামই ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চলেছে সরকার
গোটা স্টেডিয়ামটাই সরকার ভেঙে ফেলবে। তাও কেবল একটি ঘটনার রেশ টেনে। স্টেডিয়ামটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন দেশের প্রেসিডেন্ট।
গোটা একটা ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরি করা মুখের কথা নয়। সেখানে একটা তৈরি স্টেডিয়াম ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চলেছে দেশের সরকার। তাও এবার একটি ঘটনার জেরে। এমন একটা সিদ্ধান্তে ফুটবল পাগল দেশটার মানুষ অবশ্য খুশিই হয়েছেন।
চলতি মাসের শুরুতেই ইন্দোনেশিয়ার একটি ফুটবল মাঠে যে ঘটনা ঘটে যায় তা বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায় হয়ে থেকে যাবে। মাঠে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে সেদিন মৃত্যু হয় ১৩৩ জনের। যাঁরা ফুটবল খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন। আহত হন বহু মানুষ।
সেই ঘটনার পর মঙ্গলবার ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো-র সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো। যাঁকে সকলে জোকোউই নামেই ডাকেন। তিনি ফিফা প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর জানান ১৩৩ জনের প্রাণ যাওয়া কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামটিকে ভেঙে ফেলা হবে।
তবে ফুটবল স্টেডিয়ামটি ভেঙে মাঠ করে দিয়ে সেখানে ফের তৈরি করা হবে একটি নতুন স্টেডিয়াম। এবার যে স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হবে তা ফিফার দেওয়া নিয়মবিধি মেনে।
ফলে সেটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য সব দিক থেকে তৈরি একটি অত্যাধুনিক ফুটবল স্টেডিয়াম হবে। যা ইন্দোনেশিয়ার মত ফুটবল পাগল দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ১ অক্টোবর ইন্দোনেশিয়ার মালাং শহরের ওই স্টেডিয়ামে একটি লিগ ম্যাচ চলার সময় উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। যাতে স্টেডিয়াম জুড়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আর তাতেই বহু মানুষ পদপিষ্ট হয়ে মারা যান।