নিখোঁজ মহিলার খোঁজ মিলল প্রাণির পেটে
৩ দিন ধরে হন্যে হয়ে খুঁজেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। অবশেষে তাঁর খোঁজ মিলল একটি প্রাণির পেটে। যা কার্যত হতবাক করে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে।
বাংলা সাহিত্যে কুম্ভীর বিভ্রাট এমন এক রম্যরচনা যা যাঁরাই একবার পড়েছেন তাঁরা ভুলতে পারেননি। যেখানে লেখক এক আদিবাসী মহিলার কুমিরের পেট থেকে উদ্ধার হওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেই মহিলা নাকি কুমিরের পেটের মধ্যে বসে আনাজ বেচছিলেন।
সে ছিল নেহাতই কল্পনা। কিন্তু বাস্তবেই এক মহিলার খোঁজ মিলল এক প্রাণির পেটে। কার্যত তাঁকে ওই প্রাণির পেট থেকেই উদ্ধার করা হল।
ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানকার একটি গ্রামের এক মহিলাকে ৩ দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাঁর দেখা না মেলায় গোটা গ্রাম তাঁকে খুঁজতে বার হয়েছিল।
গ্রামবাসীরা লক্ষ্য করেন একটি পাইথনের পেটটা খুব মোটা মনে হচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বড় হয়ে ফুলে থাকা পেট দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় মানুষজনের। গ্রামবাসীরা অগত্যা পাইথনের পেট কেটে হতবাক হয়ে যান।
৩ দিন ধরে নিখোঁজ ওই মহিলার দেখা মেলে পাইথনের পেটের মধ্যে। অর্থাৎ তাঁকে গিলে নিয়েছিল পাইথনটি। কিন্তু তাঁর শরীরটি হজম হয়ে যায়নি। গোটা দেহটাই পেটের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়। পোশাক পরিহিত অবস্থায়।
ঘটনাটি রীতিমত নাড়া দিয়ে গেছে বিশ্ববাসীকে। ইন্দোনেশিয়ার সংবাদপত্র ছাড়াও বিশ্বের তাবড় সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।
পাইথন কোনও মানুষকে গিলে নিয়েছে এমনটা এই প্রথম হল না। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে ৩ দিন পর এভাবে পূর্ণ দেহের খোঁজ মেলা ইদানিংকালে দেখা যায়নি।