একটি পাহাড়ের মাথায় ৩টি দিঘি, তারা আবার কথায় কথায় রং বদলায়
একটি পাহাড়ের মাথায় একটি দিঘি দেখা যায়। বিশেষত আগ্নেয়গিরির মাথায়। এটাও আগ্নেয়গিরি। তবে তার মাথায় ৩টি দিঘি। তারা আবার জলের রং বদল করতে থাকে।
পৃথিবীতে আশ্চর্যের শেষ নেই। একটি আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ দিয়ে দীর্ঘকাল অগ্নুৎপাত না হলে সেই গর্ত জলে ভরে উঠে দিঘি তৈরি করে। সেই টলটলে জলের দিঘি দেখতে বহু পর্যটক হাজির হন। এমনটা পৃথিবীর নানা প্রান্তে দেখা যায়।
কিন্তু এমনও একটি আগ্নেয়গিরি রয়েছে যার মাথায় ৩টি জ্বালামুখ রয়েছে। আর সেই ৩টি জ্বালামুখে ৩টি দিঘি তৈরি হয়েছে। টলটলে জলের সেই দিঘির জলের রং কিন্তু আলাদা আলাদা। একেই ৩টি জ্বালামুখ পর্যটকদের টানে। তার ওপর উপরি পাওনা রঙিন দিঘিদের খেয়ালি রং বদল।
এখানে যে ৩টি দিঘি রয়েছে তার একটিতে সাধারণভাবে নীলচে জল, অন্যটিতে সবজে জল আর তৃতীয়টিতে লালচে জল দেখা যায়। কখনও কখনও এই লালচে জল গাঢ় লাল রং ধারণ করে।
আবার সেটাই কখনও কখনও কালো রংয়ের জলে রূপান্তরিত হয়। এভাবে রং বদল হতে থাকে জলের। ৩টি দিঘির ক্ষেত্রেই কিন্তু একই কাণ্ড হয়। বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রং। কখন যে রং বদলে যাবে বোঝা দায়।
এই ৩টি জলের দিঘিতেই প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক ও সীসা রয়েছে। আবার জলের অক্সিজেনের পরিমাণও বদলাতে থাকে সারাবছর ধরে। আর অক্সিজেনের মাত্রা বদলে গেলে এবং জলে মিশ্রিত ধাতুর কারণে জলের রংয়ে বদল হতে থাকে।
আবহাওয়া এবং আগ্নেয়গিরির সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস বিশেষ প্রভাব ফেলে এই রং বদলে। তবে এসব তো বৈজ্ঞানিক দিক। পর্যটকদের কাছে ৩ দিঘির এই রং বদল এক সারাজীবন মনে রাখার মত অভিজ্ঞতা হয়ে থেকে যায় মনের মণিকোঠায়। এই ৩ দিঘির আগ্নেয় পাহাড়টি রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। নাম মাউন্ট কেলিমুতু।