বইপ্রেমীদের মন খারাপ, অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত বইমেলা
স্থগিত হয়ে গেল কলকাতা বইমেলা। করোনার কারণেই পূর্ব নির্ধারিত সময়ে হচ্ছেনা বইমেলা বলে জানিয়েছে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড।
কলকাতা : বাঙালির উৎসব ক্যালেন্ডারে কলকাতা বইমেলা অবশ্যই একটা অন্যতম উৎসব। যার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন বহু বাঙালি। কলকাতায় যত মেলা হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে বইমেলা।
কচিকাঁচা থেকে বৃদ্ধ, কারও আসতে বাকি থাকেনা এখানে। প্রতি বছরই মেলার শেষে জানিয়ে দেওয়া হয় পরের বছর কবে থেকে কবে হবে বইমেলা। এবার কিন্তু সেই পূর্ব নির্ধারিত দিন মেনে বইমেলা হচ্ছে না।
সামনের বছর ২৭ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল ৪৫ তম কলকাতা বইমেলা। এবার মেলার থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। কিন্তু রবিবার পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড-এর তরফে ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান, এবার নির্ধারিত দিনে বইমেলা হচ্ছেনা। করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। এর বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বিভিন্ন দেশের প্রকাশকরা বইমেলায় অংশ নিয়ে থাকেন। কিন্তু বিমান বন্ধ থাকায় বিদেশ থেকে এভাবে বইমেলায় বই নিয়ে তাঁরা হাজির হতে পারছেন না।
ত্রিদিববাবু আরও জানান, বিদেশ থেকে যেমন পাবলিশাররা আসতে পারছেন না, তেমনই এখানেও স্কুল, কলেজ সব বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া ইউরোপের অনেক দেশে নতুন স্ট্রেনের কারণে নতুন করে লকডাউন শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতিতে তাঁরা মেলার আয়োজন পিছিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
তবে তাঁরা তৈরি। মেলা করার মত পরিস্থিতি তৈরি হলেই তাঁরা মেলার আয়োজন করতে পারবেন। যদিও মেলা ঠিক কবে হতে পারে তার কোনও ইঙ্গিত ত্রিদিববাবু এদিন দেননি।
বইমেলা স্থগিত হয়ে যাওয়ার খবরে বইপ্রেমীদের মন খারাপ। খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ বইমেলার দিনগুলোয় অনেকেই একাধিক দিন মেলায় হাজির হন। বিভিন্ন স্টল ঘুরে বই উল্টে পাল্টে দেখার সুযোগ পান।
নানা বই সামনে দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। যা বছরের অন্য কোনও সময় পাওয়া যায়না। তাই বছরের এই কটাদিনে বই হাতে নেওয়া, পছন্দের বই কেনা, নতুন বইয়ের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটানো, এসব কিছুর জন্য সারাটা বছর অপেক্ষা করে থাকে তাঁরা। এবার সেটাই হতে পারছে না। তাই মন খারাপ হওয়াটাই তো স্বাভাবিক।