শীতের আমেজ নাই বা থাকুক। মিঠে-কড়া রোদ গায়ে মেখে বইমেলা যাওয়া চাই। মঙ্গলবার হয়ে গেল ২০১৮-র বইমেলার শুভ মহরত। এদিন বিকেলে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিরাচরিত রীতি মেনে প্রদীপ জ্বালিয়ে ৪২ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার শুভ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার থেকেই বইপ্রেমীদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে বইমেলা প্রাঙ্গণ। ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ পর্যন্ত শহরের মধ্যমণি হয়ে জমজমাট হয়ে উঠবে সেন্ট্রাল পার্ক। এবারে বইমেলার থিম কান্ট্রি ফ্রান্স। এই নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার সহযোগী দেশ হিসাবে জুড়ল ফ্রান্সের নাম। বইমেলা জুড়েই ফ্রান্সের কবি, সাহিত্যিকেরা হাজির হবেন প্রাঙ্গণে। প্রতিবারের মতো এবারেও মাঠ জুড়ে জাঁকিয়ে বসেছে দেশ-বিদেশ-রাজ্যের বিভিন্ন প্রকাশনার বইয়ের স্টল। বই কেনার ফাঁকে ফাঁকে রসনা মেটাতে থাকছে রকমারি খাদ্যসম্ভারের স্টলও।
রাত পোহালেই আট থেকে আশির গন্তব্য হতে চলেছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক। অথচ এখনও বাকি রয়ে গেছে স্টল তৈরির কাজ। ফি বছর এই ছবি বদলাল না। প্রতি বছরই বইমেলা বুধবার থেকে বসলেও তা জমতে জমতে শুক্রবার গড়িয়ে যায়। সায়েন্স সিটির সামনের মিলনমেলা প্রাঙ্গণ ছেড়ে নতুন জায়গায় এবারে ঘর বেঁধেছে বইমেলা। মিলনমেলা প্রাঙ্গণের বেশ কিছু পরিবর্তন করছে রাজ্য সরকার। সেই কাজ চলছে। ফলে সেখানে বইমেলার আয়োজন সম্ভব হয়নি। তবে নতুন ঠিকানায় পুস্তকপ্রেমীদের সামলানোর মতো প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন আয়োজকরা।
জনজোয়ার সামাল দিতে কোমর বেঁধে প্রস্তুত কলকাতা ও রাজ্য পুলিশও। বইমেলার নতুন ঠিকানা বইপ্রেমী ও প্রকাশকদের হাত ধরে কতটা ‘মার্কস’ এনে দেবে? নতুন পরিবেশে নতুন চেহারায় আবির্ভূত ২০১৮-র বইমেলায় মানুষের উন্মাদনা কি আগের মতই অক্ষুণ্ণ থাকবে? এখন দেখার বিষয় শুধু সেটাই।
(ছবি – সৌজন্যে – ফেসবুক – মমতা ব্যানার্জী অফিসিয়াল)