শেষ মুহুর্তের লাফ, বেঁচে গেল মহাকাশের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন
অল্পের জন্য রক্ষা পেল আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন। শেষ মুহুর্তে আড়াই কিলোমিটার লাফ দিল সে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে সারাবছরই গবেষণার কাজ চলতে থাকে। সেখানে সারাবছরই মহাকাশচারীরা থাকেন। বিভিন্ন দেশের মহাকাশচারীরা সেখানে কেউ ৪, কেউ ৫, কেউ ৬ বা তার বেশি মাস ধরে থাকেন। তারপর পৃথিবীতে ফিরে আসেন। আবার তাঁর জায়গায় অন্য কোনও নভশ্চর হাজির হন সেখানে।
গবেষণার কাজ থেমে থাকেনা। পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪১৫ কিলোমিটার উপরে সাধারণভাবে অবস্থান করে এই গবেষণাকেন্দ্র। সেখানে বিভিন্ন সময়ে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কারগো মহাকাশযানে করে পাঠানো হতে থাকে।
রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস জানাচ্ছে, এই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের কক্ষ পরিবর্তন করা হয় আড়াই কিলোমিটার। আড়াই কিলোমিটার আরও উপরে সেটিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা যাচ্ছে, দ্রুত এভাবে এটির কক্ষ পরিবর্তনের কারণ মহাকাশে ভেসে বেড়ানো কৃত্রিম উপগ্রহের জঞ্জাল। যার মেয়াদ শেষ হয়েছে আগেই। তার আর কোনও কাজ নেই। কিন্তু সেই কৃত্রিম উপগ্রহ কাজ শেষের পর জঞ্জাল হয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে।
তেমনই একটি কৃত্রিম উপগ্রহে ধাক্কা লাগার উপক্রম হয়েছিল। আইএসএস-এর একদম মুখোমুখি হয়ে পড়েছিল সেটি। ধাক্কা লাগলে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের বড় ক্ষতি হয়ে যেত। এই সংঘর্ষ এড়াতেই দ্রুত সেটিকে উপরের দিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
মহাকাশে ভেসে বেড়ানো মেয়াদ উত্তীর্ণ কৃত্রিম উপগ্রহগুলি নিছকই এখন জঞ্জাল। আর সেই জঞ্জাল মহাকাশে বেড়েই চলেছে। যা থেকে নিষ্কৃতি কীভাবে মিলবে সেটাই এখন বিজ্ঞানীদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা