৮ মাস পর হারিয়ে যাওয়া টমেটোর খোঁজ মিলল মহাকাশে
৮ মাস আগে তা হারিয়ে গিয়েছিল। সেই টমেটোর খোঁজ মিলল মহাকাশে। অবশ্যই এতে ১ জনের ওপর থেকে বড় অপবাদও কাটল।
সে ৮ মাস আগের কথা। একটি টমেটো নিয়ে যত হই হট্টগোল শুরু হয়। কোথায় গেল টমেটোটা? সেটাই ছিল লক্ষ্য টাকার প্রশ্ন। তন্নতন্ন করে খুঁজেও টমেটোর দেখা মেলেনি। অবশেষে মনে করা হয় সেটির দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনি হয়তো খেয়ে ফেলেছেন টমেটোটি।
কিন্তু তাঁকে একথা বলতেই তিনি জানান এমন কাজ তিনি করেননি। কিন্তু সন্দেহটা থেকেই যায়। এমনকি তা নিয়ে তাঁর পিছনে লাগাও শুরু হয়ে যায়।
কিন্তু তিনি যে টমেটোটি খাননি সেটা প্রমাণ হল ৮ মাস পর। মহাকাশে পাওয়া গেল সেই হারানো টমেটো। তবে একটু নষ্ট হয়ে গেছে সেটি।
মহাকাশে যে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন রয়েছে সেখানে ফলন সম্ভব করে দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা সেখানে টমেটো ফলিয়ে ফেলেছেন। মহাকাশে জন্ম নিচ্ছে টমেটো।
এই বৃহৎ সাফল্যের মাঝে যে টমেটোটি মহাকাশে প্রথম জন্মেছিল সেটি আচমকা হারিয়ে যায়। স্পেস স্টেশনে সে সময় এই টমেটো রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন ফ্রাঙ্ক রুবিও নামে এক মহাকাশচারী। তাঁর দিকেই আঙুল ওঠে।
মহাকাশে জন্মানো প্রথম টমেটোটি তিনিই খেয়ে ফেলেছেন বলে সন্দেহ করতে শুরু করেন অন্য মহাকাশচারী থেকে পৃথিবীতে বসে থাকা নাসার বিজ্ঞানীরা। যদিও রুবিও সাফ জানান তিনি টমেটো খাননি।
তবে তিনি অনেক চেষ্টা করে খুঁজেও টমেটোটির দেখা পাননি। গত সেপ্টেম্বরে তিনি স্পেস স্টেশন থেকে পৃথিবীতে ফিরেও আসেন। তবে তাঁকে এই গঞ্জনা পিছু ছাড়েনি।
কিন্তু স্পেস স্টেশনেই ৮ মাস পর এক কোণা থেকে সেই টমেটো উদ্ধার হয়েছে। সেটি কিছুটা নষ্টও হয়ে গেছে। তবে এটা পরিস্কার হয়ে গেছে, যে সন্দেহ করা হচ্ছিল যে রুবিও ওটি খেয়ে ফেলেছেন, তা সত্যি নয়। ৮ মাস ধরে অপবাদ সহ্য করার পর অবশেষে ক্লিনচিট পেলেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা