পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার দানিশ কানেরিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েকজন পাক ক্রিকেটার একসঙ্গে খেতেন না। দানিশ হিন্দু বলেই তাঁরা তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করতেন। অথচ পাকিস্তানের জন্য দানিশ কানেরিয়ার অবদান ভোলার নয়। তাঁর জন্য ২০০৫ সালে পাকিস্তান ইংল্যান্ডে টেস্ট জেতে। দানিশ হলেন পাকিস্তানের চতুর্থ সফলতম বোলার। এমন একজন আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটারের সঙ্গে এমন ব্যবহার মানা যায়না।
প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতারের এই বোমা ফাটানোর পরই পাকিস্তান তো বটেই ভারতেও চর্চা তুঙ্গে ওঠে। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস শোয়েবের বক্তব্যে ঘৃতাহুতি দিয়ে দানিশ জানান, তিনি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে কারা তাঁর সঙ্গে এমন ব্যবহার করত তাঁদের নাম প্রকাশ করবেন। এই অবস্থায় সকলেই তাকিয়েছিলেন দানিশ কাদের নাম বলেন সেদিকে। আর এই টান টান পরিস্থিতির মধ্যেই এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক।
দানিশ কানেরিয়া হলেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের দ্বিতীয় কোনও হিন্দু সদস্য। দানিশ স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আজীবনের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যান হওয়ার আগে পর্যন্ত ইনজামাম-উল-হকের নেতৃত্বেই সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন। সেই ইনজামাম শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেন, তাঁর নেতৃত্বে দানিশ অনেক ম্যাচ খেলেছেন। তাঁর এমন একটাও উদাহরণ মনে পরছে না যে কোনও পাক খেলোয়াড় দানিশের সঙ্গে এমন আচরণ করেছেন। বরং পাক খেলোয়াড়দের হৃদয় এত ছোট নয় বলে পাল্টা দাবি করেছেন ইনজ়ি।
ইনজামাম আরও দাবি করেছেন, অনেক জায়গায় খেলতে গিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা একই হোটেলে উঠেছেন। সেখানে একে অন্যের ঘরে বসে আড্ডা দিয়েছেন। একসঙ্গে খাওয়া দাওয়ায় করেছেন। সেখানে কখনও দানিশকে আলাদা করে রাখা হয়নি। এমনকি ভারতীয় খেলোয়াড়েরাও তো পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেছেন, হাসিঠাট্টা করতেন। দানিশ অবশ্য এখনও নিজের জায়গায় স্থির। তাঁর সঙ্গে যাঁরা বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন তাঁদের নাম তিনি প্রকাশ করবেন। পাশাপাশি পাক ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধেও বৈষম্যের অভিযোগ করেছেন দানিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা