৩৯ বছরের ‘অভিশাপ’ থেকে অবশেষে আংশিক মুক্তি। ইরানের মহিলাদের জন্য নববর্ষের অন্যতম সেরা চমক দিল সে দেশের প্রশাসন। এবার থেকে রাজধানী তেহরানের মেয়েরা মনের আনন্দে রঙিন করে তুলতে পারবেন তাঁদের নখ। পছন্দের প্রসাধন দিয়ে সাজিয়ে তুলতে পারবেন নিজেদের মুখশ্রী। ১৯৭৯ সাল থেকে ইরানের মহিলাদের মাথা, মুখ, চুল পুরোটাই ঢেকে রাখতে হত আচ্ছাদনে। চড়া প্রসাধনের ব্যবহার ছিল চূড়ান্ত রকমের নিষিদ্ধ। নিয়মের লঙ্ঘন হলেই হাজতবাস ছিল ইরানীয়ান মহিলাদের ভবিতব্য।
সেই কঠিন অনুশাসনের বেড়া ভেঙে গেল গত বৃহস্পতিবার। এবার থেকে মুখে ‘নকাব’ না দিয়েও প্রকাশ্যে বার হতে পারবেন তেহরানের মহিলারা। আপাতত এই ব্যবস্থা কেবল রাজধানীর রমণীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। পূর্বের নিয়মই বহাল থাকবে দেশের অন্যান্য অংশে। তবে নিয়মের অপব্যবহারকারীদের পুলিশের নিজস্ব সহবত শেখানোর ব্যবস্থার বিষয়ে তেহরানের মেয়েদের সতর্ক করে দিয়েছে প্রশাসন।
চলতি বছরে পড়শি রাষ্ট্র সৌদি আরবের যুবরাজ তাঁর দেশের মেয়েদের সামনে একের পর এক খুলে দিয়েছেন স্বাধীনতার দরজা। ফুটবল মাঠের গ্যালারিতে গলা ফাটানো বা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখা, একগুচ্ছ প্রস্তাব পাশ হয়েছে এক সময়ের কট্টরপন্থী ইসলামিক রাষ্ট্রের প্রায় গৃহবন্দি নারীদের মুক্তির স্বাদ দিতে। প্রিন্সের ‘ভিশন ২০৩০’-র হাওয়া লেগে ইরানের এই ভোলবদল আগামীদিনে নিয়মশাসিত মেয়েদের জন্য আর কি কি সুযোগ এনে দেয়, সেটাই এখ দেখার।