সকলের প্রিয় ছিলেন তিনি। তাই তাঁর মৃত্যুতে চোখের জল পড়েছে অনেকের। সকলেই তাঁকে শেষ দেখা দেখতে চাইছিলেন। তাঁর অন্ত্যেষ্টিতে যোগ দিতে চাইছিলেন। ২-৫ জন নন। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় উপচে পড়ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হানায় বাগদাদে মৃত ইরানের সেনা প্রধান কাসেম সোলেইমানি-র জন্য এত মানুষের ভালবাসা, কষ্ট, চোখের জল সব বাধা অতিক্রম করে সুনামির মত আছড়ে পড়েছিল কাসেমের শহর ইরানের কারমনে।
কাসেমকে কবর দেওয়ার আগে তাঁর শেষ যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন অগণিত মানুষ। মঙ্গলবার অত সকালেও মানুষের মাথা আর মাথা নজর কেড়েছে। সকলের মুখে ছিল আমেরিকা বিরোধী স্লোগান। সেখানেই ছুটোছুটি, হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। ফলে অনেকেই ওই হুড়োহুড়িতে রাস্তায় পড়ে যান। তাঁদের ওপর পা দিয়ে অনেকে চলে যান। এই পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণে আসে ততক্ষণে অনেক মানুষ রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছেন বা নিথর হয়ে পড়ে আছেন।
ঘটনাস্থলেই পদপিষ্ট হয়ে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়। ৪৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসন। এছাড়াও অনেকে কমবেশি চোট পেয়েছেন। এদিন সকলের শরীরেই ছিল কালো পোশাক। এত মানুষের সমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি পুলিশও। ঘটনার পর এলাকা ঘিরে ফেলে তারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা