বিমানে ছিলেনই ১৭৬ জন। যাত্রী ও বিমানকর্মী মিলিয়ে। তাঁদের একজনও জীবিত নেই বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে। ১৬৭ জন যাত্রী ও ৯ জন বিমানকর্মীকে নিয়ে ইউক্রেনের বিমানটি বুধবার সকালে ভেঙে পড়ে ইরানের পারান্দ শহরের কাছে। যদিও বিমানটি ইউক্রেনের। কিন্তু বিমানে তখন ইরানের বাসিন্দাই ছিলেন অধিকাংশজন। বিমানটি যাত্রী নিয়ে ওড়ার পরই ভেঙে পড়ে। মনে করা হচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা।
যাত্রীবাহী বিমানটি ভেঙে পড়ার পরই তাতে আগুন ধরে যায়। ফলে বিমানে উপস্থিত একজনও জীবিত উদ্ধার হননি। ঘটনার পর দ্রুত আগুন নিভিয়ে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে একের পর এক দেহ বার করে আনা হতে থাকে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানানো হয়েছে, বিমানটি আকাশে থাকাকালীনই তার একটি ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। তারপরই সেটি ভেঙে পড়ে।
বিমানটি ভেঙে পড়ায় বিমানে উপস্থিত ১৭৬ জনেরই মৃত্যু হয়। কিন্তু যেখানে ভেঙে পড়ে সেটি খোলা জায়গা হওয়ায় সেখানে কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। এদিকে কীভাবে এমন এক ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইউক্রেনের বিমান সংস্থা হওয়ায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ওমান সফরের মাঝেই ফিরে আসেন কিয়েভে। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ব্যক্ত করেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা