নিজের দেশের যুদ্ধজাহাজেই ক্ষেপণাস্ত্র হানা, মৃত ১৯
শত্রুপক্ষের দিকে তাক করে ছোঁড়ার জন্যই বিভিন্ন দেশ তৈরি করে ক্ষেপণাস্ত্র। এই মারণাস্ত্র কেউ নিজের দিকেই ছোঁড়ে না। কিন্তু সেটাই ঘটল।
ইরানের নৌবাহিনীর ২টি বড় ভরসা জামারান ও কোনারাক। এই ২ যুদ্ধজাহাজ হাতে থাকায় ইরানের নৌসেনা যথেষ্ট শক্তিশালীও। অত্যাধুনিক এই ২ যুদ্ধজাহাজ প্রায়শই জলভাগে অনুশীলন করে থাকে। সাধারণত এই অনুশীলন হয়ে থাকে স্ট্র্যাটেজিক স্ট্রেট অফ হরমুজ-এ। গত শনিবার বিকেলে জাহাজ ২টি অনুশীলনে লিপ্ত ছিল গালফ অফ ওমানের বন্দর-এ-জাস্ক-এর জলভাগে। অনুশীলনের সময় একে অপরের দিকে বন্ধুত্বপূর্ণ গোলাগুলিও চলে। তবে তা কাউকে আঘাত করার জন্য নয়। অনুশীলন করার জন্য।
গত শনিবার জামারান থেকে নতুন তৈরি একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। কিন্তু সেই ক্ষেপণাস্ত্র সোজা গিয়ে আছড়ে পড়ে কোনারাকে। কোনারাকেই ক্ষেপণাস্ত্রটি বিস্ফোরণ ঘটায়। জাহাজে থাকা ১৯ জন নাবিকের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জাহাজে। ১৯ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ১৫ জন গুরুতর আহত হন। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
এই ঘটনার কথা জানিয়েছে ইরানের জাতীয় সংবাদমাধ্যম। যুদ্ধের প্রস্তুতি রাখার জন্য সেনাবাহিনীতে অনুশীলন নতুন কিছু নয়। নিজেদের মধ্যে অনুশীলন হোক বা বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়া। অনুশীলন চলতেই থাকে। তাতে সেনাবাহিনীও তৈরি থাকে। অন্যদিকে যুদ্ধাস্ত্রেরও কোনও সমস্যা আছে কিনা পরীক্ষা করা হয়ে যায়। কিন্তু তা যে এমন বিপদ ডেকে আনবে তা বোধহয় ইরানের নৌবাহিনী বুঝতে পারেনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা