৬০ বছর পর স্নান কেড়ে নিল বিশ্বের সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন মানুষের জীবন
স্নান করাটাই তাঁর জীবন কেড়ে নিল। অন্তত এমনই মনে করছেন সকলে। তিনি নিজেও মনে করতেন স্নান করলে তিনি অসুস্থ হবেন।
যুবা বয়স পর্যন্ত সাধারণ মানুষের মতই সব চলছিল। স্নান, খাওয়া সবকিছু। কিন্তু বছর ৩৪ যখন তাঁর বয়স তখন এক মানসিক যন্ত্রণার শিকার হন তিনি। যা তাঁর স্নান খাওয়া ভুলিয়ে দেয়।
সে সময় থেকে স্নান না করা শুরু করেন। তারপর স্নান না করাটাই নিয়মে পরিণত করে ফেলেন। শরীরে জমা হতে থাকে পুরু ময়লা। তাতে কি! তিনি স্নান না করেই দিব্যি জীবন কাটাচ্ছিলেন।
তাঁকে স্নান করতে বললেই তিনি ভীত হয়ে পড়তেন। সাফ জানিয়ে দিতেন তিনি স্নান করলেই অসুস্থ হয়ে পড়বেন। ফলে কেউ তাঁকে আর স্নান করতে বলতেন না।
শুধুই কি স্নান! তাঁর খাবারও ছিল তাঁর দেহের মতই অপরিচ্ছন্ন। টাটকা খাবার তিনি খেতে পারতেন না। টাটকা ফল, পানীয়, অন্য খাবার কিছুই তাঁর সহ্য হতনা। তাই তিনি খাবার পচিয়ে খেতেন। সবচেয়ে পছন্দের খাবার ছিল পচা সজারুর মাংস।
স্নান না করে আর পচা খাবার খেয়ে তিনি দিব্যি সুস্থ ছিলেন। যদিও তাঁর এই অপরিচ্ছন্নতার জন্য তাঁর সকলের সঙ্গে একসঙ্গে থাকাটা হয়নি।
তিনি একা থাকতেন গ্রামের অদূরে একটি টিলার গায়ে পাথরের ছোট্ট ঘরে। যার আশপাশে কোনও জনবসতি ছিলনা। তবে তাঁর অসুখ ছিলনা।
বিশ্বের সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন মানুষের তকমা পান ইরানের আমু হাজি। ৩৪ বছর বয়সে বন্ধ করেছিলেন স্নান করা। তারপর ৬০ বছরে কখনও স্নান করেননি তিনি।
অবশেষে কিছুদিন আগে গ্রামের মানুষজন তাঁকে ৬০ বছর পর কার্যত জোর করেই স্নান করতে বাধ্য করেন। সকলের চাপে বাধ্য হয়ে স্নান করেন হাজি। সেই স্নান করার কিছুদিনের মধ্যেই মারা গেলেন তিনি।
হাজি বারবার বলতেন স্নান করলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। সেটাই হল। স্নান করার কিছুদিনের মধ্যে কাকতালীয়ভাবে মারা গেলেন তিনি। ৯৪ বছরের বৃদ্ধের আশঙ্কাই সত্যি হল।