খরায় শুকিয়ে গেল দিঘি, নিচে উঁকি দিল সাড়ে ৩ হাজার বছর পুরনো শহর
এমন খরা বহুদিন দেখা যায়নি। বিশাল দিঘির জলও শেষ হয়েছে খরায়। আর জল শুকোতেই সকলে অবাক হয়ে দেখেন তলায় উঁকি দিচ্ছে এক প্রাচীন শহর।
খরায় ছারখার হয়ে যাচ্ছে চারধার। আগুনে গরম আর অনাবৃষ্টি শুষে নিচ্ছে সামান্য জলটুকুও। শুকিয়ে কাঠ নদী, নালা, দিঘি থেকে শুরু করে ছোট জলাধারও।
এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে শুকিয়ে গেছে এক অতিকায় দিঘি। আর সেই দিঘির সব জল শুকিয়ে যেতে বেরিয়ে পড়েছে তার তলদেশ।
জল শুকিয়ে দিঘির তলদেশ সামনে আসতেই চমকে যান সকলে। দিঘির একদম নিচে যেটা উঁকি দিচ্ছে সেটা একটা আস্ত শহর! দ্রুত ডাক পড়ে প্রত্নতাত্ত্বিকদের।
ইরাকের একটা বড় অংশই এখন খরা কবলিত। শুকিয়ে যাচ্ছে মাটি, জল। মানুষ প্রবল সমস্যার মুখে পড়েছেন। এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতির ফলে শুকিয়ে যাওয়া দিঘির তলায় যে শহরের দেখা মেলে তা ৩ হাজার ৪০০ বছর পুরনো।
খ্রিস্টপূর্ব ১৫৫০ বর্ষ থেকে ১৩৫০ বর্ষ পর্যন্ত ওই অঞ্চলে মিত্তানি সাম্রাজ্যের শাসন ছিল। সে সময়টা ছিল ব্রোঞ্জ যুগ। টাইগ্রিস নদীর ধারে এই মিত্তানি সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল জাখিকু শহর। সেই শহরই উঁকি দেয় দিঘির তলদেশে।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানাচ্ছেন, শহরটি হয়তো ভূমিকম্পের কারণে ধ্বংস হয়ে যায়। অনেক বাড়ি ভেঙে পড়ে। ধ্বংসাবশেষের নিচে তারপরেও শহরের একটা অংশ থেকে যায়। থেকে যায় অনেক অক্ষত অংশ। যা পরীক্ষা করে দেখছেন গবেষকেরা।
তবে এই দিঘি এরপর ফের জলে ভরবে। তাই তার আগে সামনে আসা প্রাচীন শহরটিকে প্লাস্টিকে ঢেকে ফেলার কাজ চলছে। যাতে জল ভরে গেলে তা জলে নষ্ট না হয়ে যায়। জল ভরলেও যেহেতু এই প্রাচীন শহরের কথা জানা গেছে তাই তা নিয়ে গবেষণা থেমে থাকবেনা।