যাঁরা শ্রমিকের কাজ করতে চান এমন মানুষজন ভিড় জমান এখানে। কারও দরকার পড়লে তাঁদের রোজের বিনিময়ে নিয়ে যান কাজ করাতে। প্রতিদিনের মত এমনই কর্মসন্ধানী শ্রমিকের ভিড় জমেছিল ইরাকের রাজধানী শহর বাগদাদের তেরান স্কোয়ারে। ব্যস্ত সময়ে শ্রমিকদের ভিড় ছাড়াও ছিল সাধারণ মানুষের ভিড়। ঠিক সেই সময়েই এক ব্যক্তি গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক ফাটিয়ে দেয়। প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। মানব বোমা বিস্ফোরণে তখন একটা ব্যস্ত এলাকা মহুর্তে বদলে যায় শ্মশানের হাহাকারে। চতুর্দিকে রক্ত। মানুষের আর্তনাদ। আর পোড়া গন্ধ। এরমধ্যেই আবার বিস্ফোরণ। ফের মানব বোমা। ওখানেই দাঁড়ানো এক ব্যক্তি তারও গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক ফাটিয়ে দেয়। ফলে অবস্থাও আরও শোচনীয় আকার নেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪০ জনের। আহতের সংখ্যা শতাধিক। তাঁদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। এই ঘটনার দায় কোনও সংগঠন স্বীকার না করলেও বিস্ফোরণের ধরণধাঁচ দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এটা আইসিসের কাজ। আগে বাগদাদে বিস্ফোরণ ছিল নিত্য দিনের ঘটনা। সেই আতঙ্ক কেটে এখন অনেকটাই শান্ত বাগদাদ। ইরাকের বিভিন্ন শহরকে আইসিস মুক্ত করার পর থেকে বাগদাদেও বিস্ফোরণ আতঙ্ক কমেছে। কিন্তু এদিনের বিস্ফোরণ ফের সেই আতঙ্ককে তাজা করে দিল।