সম্প্রতি ইরাকে গিয়েছিল ‘অযোধ্যা শোধ সংস্থান’ নামে একটি ভারতীয় প্রতিনিধিদল। তারা ইরাকের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখে। তাদের দাবি, ইরাকের হরেন শেখান এলাকায় দরবন্দ-ই-বেলুলা ক্লিফ নামে একটি খাড়াই পর্বতগাত্রে খোদাই করা অবস্থায় ভগবান রামের মূর্তি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। হাতে ধনুক, পিঠের ধার ঘেঁষে তির রাখার তুনির, কোমরে ছোট ছুরি। যার সঙ্গে হুবহু মিলছে রামের মূর্তি। তাঁর সামনে বসে আছেন একজন হাত জোর করে। যাঁর হনুমানজি-র সঙ্গে মিল আছে।
ইরাকে কর্মরত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দল ইরাকে যায়। সেখানে বিশেষজ্ঞেরাও ছিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন বেলুলা পাসে যে রামের মূর্তির সন্ধান তাঁরা পেয়েছেন তার গ্রাফিকাল প্রমাণ তাঁরা সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। যে রামের খোদাই করা মূর্তি তাঁরা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তা খোদাই করা হয়েছিল যিশুখ্রিস্টের জন্মেরও ২ হাজার বছর আগে। ‘অযোধ্যা শোধ সংস্থান’-এর ডিরেক্টর যোগেন্দ্র প্রতাপ সিং-য়ের দাবি, রামের সময়েও যে ভারতের সঙ্গে মেসোপটেমিয়ার সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ছিল তা এই খোদাই থেকেই স্পষ্ট।
‘অযোধ্যা শোধ সংস্থান’ পর্বতগাত্রে খোদাই করা মূর্তি রামের বলে দাবি করলেও ইরাকের বিশেষজ্ঞেরা অন্য কথা বলছেন। তাঁদের দাবি, রাম নন, ওটা ওখানকার পাহাড়ি আদিবাসী গোষ্ঠীর প্রধান তারদুন্নি-র মূর্তি। ইরাকের প্রত্নতত্ত্ববিদ বা ঐতিহাসিকরা সে সময় ভারতের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র বা ভগবান রামের মূর্তির বিষয়টিকে আমল দিচ্ছেন না। তবে ভারতের ‘অযোধ্যা শোধ সংস্থান’ প্রতিনিধিদল কিন্তু বিষয়টি আরও গবেষণা করে দেখতে চায়। তারা নিশ্চিত যে মূর্তি তারা দেখে এসেছে তা ভগবান রাম ও হনুমানজি-র। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা