মহানবী হজরত মহম্মদের দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন এবং তাঁর সমর্থক ও পরিবারের সদস্যরা ইরাকের কারবালার প্রান্তরে ইয়াজিদ সৈন্যদের হাতে নিহত হন। যাঁরা মারা গিয়েছিলেন তাঁরা মুসলিমদের কাছে ‘শহিদ’ হিসাবে পরিগণিত হন। হিজরি ৬১ সালের এই দিনটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন।
প্রথম চান্দ্র মাসের দশম দিনে মহরম পালিত হয়। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের সেই নির্মম ঘটনাকে স্মরণ করেই পালিত হয় পবিত্র আশুরা। এই দিনকে সামনে রেখে এখনও মহরমের দিন কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসেনের স্মরণে তৈরি স্মৃতিসৌধে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান। সেখানেই মঙ্গলবারও ভিড় জমেছিল।
ইমাম হোসেনের স্মরণে তৈরি স্থানে প্রবেশের জন্য হাজার হাজার পুণ্যার্থী গেটের কাছে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। সেই সময় হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে অনেকেই পদপিষ্ট হয়ে যান। আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পদপিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩১ জনের। আহত হন শতাধিক। তাঁদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মহরমের দিনই হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে সবই হয় সুন্দরভাবে। কিন্তু সেই কারবালার ঐতিহাসিক স্থানে এমন ঘটনায় গোটা বিশ্ব জুড়ে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার জেরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। একে একে দেহ উদ্ধার করে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঠিক কেন হুড়োহুড়ি শুরু হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা