নিজের চেষ্টায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি দিল বিষধর বিছে
সে এক বিষধর বিছে। তার একটা হুল বড় বিপদের কারণ হতে পারে। সেই বিষধর নিজের চেষ্টায় একটি দেশ থেকে অন্য দেশেও পৌঁছে গেল।
নিজের দেশ ছেড়ে অন্যদেশে যাওয়ার রাস্তা সে নিজেই বার করে নিল। যা করল তা অতি সন্তর্পণে। কাউকে কোনওভাবে আতঙ্কিত না করে। আবার নিজেও যাতে বেশ শান্তিতে কোনও বাধার মুখে না পড়েই পৌঁছতে পারে সে ব্যবস্থাও করে নিল। বলা হচ্ছে এক বিষধর বিছের কথা।
বিছে অনেকেই দেখেছেন, কিন্তু এ বিছে কেনিয়ার জঙ্গলের অতি বিষধর বিছে। যাকে কাছে দেখলেই মানুষের শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে যায়। সে কেনিয়া থেকে আয়ারল্যান্ডে পৌঁছে গেল বিনা বাধায়।
এখানে ২টি প্রশ্ন সামনে আসে। এক সে পৌঁছল কীভাবে? দুই, আয়ারল্যান্ডের ঠান্ডায় সে রইল কেমন করে? কেনিয়ায় আসা আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা এক মহিলার লাগেজ ব্যাগে বিছেটি লুকিয়ে ঢুকে পড়েছিল। তারপর সেখানেই এমনভাবে গা ঢাকা দিয়েছিল যে তাকে কেউ দেখতে পায়নি।
ওই মহিলা সেই লাগেজ নিয়ে বিমানে আয়ারল্যান্ড ফিরে যান। তারপর নিজের বাড়িতে পৌঁছে ব্যাগটি একটি কোণায় খুলে রাখেন। বাইরে থেকে ফেরার ধকল থাকায় ব্যাগটি খুলে রেখে দিলেও তাতে হাত দেননি তিনি।
এদিকে যে মেঝের ওপর ব্যাগটি রাখা ছিল সেই মেঝের তলায় ছিল ঘর গরম রাখার হিটার। ফলে ওই মেঝেটি বেশ গরম হয়ে থাকত। কেনিয়ার গরমে অভ্যস্ত বিছেটির তাই গরমের সমস্যা হয়নি। সে দিব্যি কাটাতে থাকে দিনগুলো।
২ সপ্তাহ পরে যখন ওই মহিলা কেনিয়া থেকে আসা লাগেজ সব বার করতে যান তখনই তাঁর নজরে পড়ে ওই বিছেটি। দ্রুত তিনি খবর দেন চিড়িয়াখানায়।
সেখান থেকে বিশেষজ্ঞেরা এসে ফিশারস ফ্যাট টেলড স্করপিয়ন প্রজাতির বিছেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। প্রসঙ্গত এই ধরনের বিছের হুলে থাকা বিষে শ্বাসকষ্ট, প্রবল যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়।