গ্রহ হিসাবে পরিগণিত হতে গেলে যে শর্তগুলি পূরণ হওয়া দরকার, তার সবকটি শর্ত প্লুটো পূরণ করছে না। এই যুক্তিতে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের বিজ্ঞানীরা ২০০৬ সালে প্লুটোকে পূর্ণ গ্রহের মর্যাদা থেকে সরিয়ে দেন। তাকে ডোয়ার্ফ প্ল্যানেট বা বামন গ্রহ হিসাবে ব্যাখ্যা করেন তাঁরা। ফলে সূর্যের নবগ্রহের চিরাচরিত ব্যাখ্যা বদলে ২০০৬-এর পর থেকে হয়ে যায় ৮টি গ্রহ।
বিজ্ঞানীদের সেই ব্যাখ্যা সকলে মেনে নিলেও মন থেকে মানতে পারছে না আয়ারল্যান্ডের ছোট্ট মেয়ে কারা লুসি ও’কোনোর। কতই বা বয়স! মাত্র ৬ বছর! যখন প্লুটোকে বামন গ্রহের ‘স্ট্যাটাস’ দেওয়া হয় তখনও সে এ পৃথিবীর আলো দেখেনি। তাই নস্টালজিয়ার কোনও ব্যাপার নেই। কিন্তু কারার বক্তব্য সে অনেক ভিডিও দেখেছে। যা দেখেশুনে তার মনে হয়েছে প্লুটোকে এভাবে গ্রহের মর্যাদা থেকে সরিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। প্লুটো গ্রহই। তাই সে নাসাকে চিঠি লিখেছে। চিঠিতে সে অনুনয়ের সুরেই জানিয়েছে, প্লুটোকে ফের গ্রহ করে দাওনা গো!
চিঠিতে সে একটা গানের কথাও লিখেছে। যেখানে ফের প্লুটোকে গ্রহ করে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। দ্যা ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত ছোট্ট কারার অনুনয়পত্র এখন গোটা বিশ্বের মুখে মুখে ঘুরছে। ছোট্ট মেয়ের অনুরোধ রাখা হয়তো সম্ভব নয়। তা রাখেওনি নাসা। কিন্তু খুব সুন্দর করে তাকে একটি উত্তর পাঠানো হয়েছে। যেখানে নাসার অধিকর্তা লিখেছেন, কারার প্লুটো নিয়ে এই উৎসাহ তাঁর দারুণ লেগেছে। প্লুটো গ্রহ, না গ্রহ নয়, তাতে কিছু যায় আসে না। প্লুটো একটা দারুণ জায়গা। কারাকে আরও মন দিয়ে পড়াশোনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, ভাল করে লেখাপড়া করলে আগামী দিনে কারাকে নাসাতেই পাওয়া যেতে পারে। সে বড় হয়ে নিশ্চয়ই আরও নতুন নতুন গ্রহ আবিষ্কার করবে বলেও কারাকে উৎসাহ দিয়েছেন নাসার অধিকর্তা।