রূপকথার গল্প যেন, সমুদ্র থেকে উঠে এল আস্ত গরু
সমুদ্রের ধারে বালির ওপর গরু দেখা গেলে কিছু বলার ছিলনা। কিন্তু গরুকে সমুদ্র থেকে উঠে আসতে দেখে চমকে গেলেন সকলে।
সমুদ্রের জল থেকে উঠে এল জলপরী! যার পায়ের জায়গায় রয়েছে মাছের লেজ! এমন রূপকথার গল্প অনেকে পড়ে থাকতে পারেন। কিন্তু সকলেই জানেন তা গল্প মাত্র।
সমুদ্র থেকে বড় মাছ উঠে আসতে পারে। তিমি উঠে আসতে পারে। তাবলে গরু! তাও হয় নাকি! অবশ্যই আগে বললে বিশ্বাস করতেন না কেউ। গাঁজাখুরি গল্প বলে উড়িয়ে দিতেন।
কিন্তু এ যে হাতে নাতে প্রমাণ রয়েছে! মোবাইল ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সে ছবি! সমুদ্রের থেকে ক্রমশ তটের দিকে এগিয়ে আসছে একটি গরু।
গরুটি প্রথমে আস্তে আস্তে জল থেকে এগিয়ে আসছিল ডাঙার দিকে। কিন্তু তাকে সমুদ্র থেকে উঠে আসতে দেখে হতবাক মানুষজন কাছে এগোতেই সে ক্রমশ তার পায়ের গতি বাড়ায়। তারপর ছুটতে শুরু করে।
জল থেকে বালুকাবেলায় পৌঁছে সে কার্যত ভয়ে ছুটে পালাতে থাকে। সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। সমুদ্র থেকে গরু উঠে এসেছে! এ খবর চাপা থাকেনি। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে আয়ারল্যান্ডে। মাঘেরাক্লোঘার সমুদ্রতটে ঝলমলে দিনে তখন বিচে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সকলেরই নজর কাড়ে বিষয়টি।
অনেকেই নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। ঠিক দেখছেন তো! সত্যিই ওটা গরু তো! কারণ গরু সমুদ্রে কী করছিল? জলে যদি পড়েও থাকে তো বাঁচার কথা নয়!
গরু রহস্যের কিনারা করতে সকলে উঠেপড়ে লাগেন। অবশেষে জানা যায় গরুটি কাছের একটি দ্বীপের। জোয়ারের জলে সে আসতে না পারলেও ভাটার সময় সমুদ্রের অনেকটা অংশে জল কমে যায়। বালির ওপর কিছুটা জল ভরে থাকে।
দ্বীপটি থেকে এই মূল ভূখণ্ডে পৌঁছনোর জন্য এই সময়টা হেঁটে আসা সম্ভব। সেটাই কাজে লাগায় গরুটি। সেও পা ডোবা জলে হাঁটতে হাঁটতে কাছের দ্বীপটি থেকে পৌঁছে যায় এই মাঘেরাক্লোঘার সমুদ্রতটে। সেটা প্রথমে বোঝা যায়নি। তাই বিচের সকলেই ভেবে নেন গরুটি সমুদ্র থেকে উঠে এসেছে।