এমন সন্ত্রাসবাদী হানার সঙ্গে পরিচিত নয় ইরান। কিন্তু সেখানেও থাবা বসাল সন্ত্রাসের কালো ছায়া। বুধবার সকালে ইরানের পার্লামেন্টে সবে কাজ শুরু হয়েছে। এমন সময় ৩ জন সন্ত্রাসবাদী হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আচমকাই ঢুকে পড়ে পার্লামেন্ট চত্বরে। ইরানের এক সাংসদের দাবি, জঙ্গিদের ১ জনের হাতে পিস্তল ও বাকি ২ জনের হাতে একে-৪৭ রাইফেল ছিল। ঢুকেই সুরক্ষাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ করতে করতে এগোয় তারা। গুলিতে এক সুরক্ষাকর্মীর মৃত্যু হয়। অনেকে আহত হন। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। এদিকে পার্লামেন্টে ঢুকে বেশ কয়েকজনকে পণবন্দি করে ফেলে জঙ্গিরা। শুরু হয় তাদের সঙ্গে সুরক্ষা বাহিনীর গুলির লড়াই। ইতিমধ্যে পার্লামেন্ট হাউস ঘিরে ফেলে আরও সুরক্ষা বাহিনী। গুলি যুদ্ধ চলতে থাকে। এরমধ্যেই আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে পার্লামেন্টে। একজন জঙ্গি গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক ফাটিয়ে দেয়। এরমধ্যেই শহরের অন্য প্রান্তে দেশের বিপ্লবী নেতা আয়াতোল্লা খোমেইনির সমাধিক্ষেত্রের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে ঢুকে পড়ে আর এক জঙ্গি। ঢুকেই গুলি চালাতে শুরু করে সে। গুলিতে সমাধিক্ষেত্রের বাগানের দায়িত্বে থাকা এক মালির মৃত্যু হয়। পরে যদিও পুলিশের গুলিতে ওই জঙ্গিরও মৃত্যু হয়। কিন্তু তখনও সব শেষ হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সমাধিস্থলে লুকিয়ে থাকা এক জঙ্গি গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক ফাটিয়ে দেয়। ইরানের পার্লামেন্ট ও খোমেইনির সমাধিস্থলে জঙ্গি হানার দায় স্বীকার করেছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস।