১১ ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ের শেষে অবশেষে মৃত্যু হল আইসিস জঙ্গি বলে সন্দেহজনক মহম্মদ সইফুল্লার। উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডের সঙ্গে তার গুলির লড়াই শুরু হয় বিকেলে। শেষ হতে হতে রাত গড়িয়ে ভোর হয়ে যায়। কোনও পণবন্দি না থাকায় সইফুল্লার বিরুদ্ধে গুলির লড়াই চালানো সহজ হয়েছে সুরক্ষাকর্মীদের। এদিন সকালে মধ্যপ্রদেশে একটি ট্রেনে বিস্ফোরণ হয়। তা সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে স্বীকার করে নেয় পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি। সেইসময়ে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় উত্তরপ্রদেশে লুকিয়ে আছে এক সন্ত্রাসবাদী। এরপর অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডের ২টি দল ভাগ হয়ে কানপুর ও লখনউতে হাজির হয়। কানপুরের দলটি ১ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে। লখনউয়ের দলটি জানতে পারে ঠাকুরগঞ্জের একটি বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে এক সন্ত্রাসবাদী। বাড়িটি এক সৌদি আরবের বাসিন্দার। ফাঁকাই পড়েছিল। সেখানে তখন একাই ছিল সইফুল্লা। অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড বাড়িটি ঘিরে ফেললে শুরু হয় গুলির লড়াই। ১১ ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে। প্রাথমিকভাবে সইফুল্লাকে জীবন্ত ধরার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।