বাগদাদের একটি বিখ্যাত আইসক্রিম পার্লারে তখন মানুষের ভিড়। রমজান মাসে রাতের দিকে এখানে ভিড় নতুন কিছু নয়। সেখানেই আচমকা গাড়ি ভর্তি বিস্ফোরক নিয়ে ঢুকে পড়ে এক আত্মঘাতী জঙ্গি। ফাটিয়ে দেয় বিস্ফোরক। তছনছ হয়ে যায় দোকান সহ আশপাশের এলাকা। বহু মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় ছিটকে পড়েন চারপাশে। মৃত্যু হয় ১৬ জনের। আহত বহু। এই বিস্ফোরণের দায়ও স্বীকার করে আইসিস। দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয় এর কিছুক্ষণ পর। টাইগ্রিস নদীর ওপর একটি ব্রিজের কাছে। সেখানে ১১ জনের মৃত্যু হয়। আহত প্রায় ৫০ জন। এখানেও হানাদার ছিল একটি আত্মঘাতী গাড়ি বোমা। দ্বিতীয় বিস্ফোরণের দায় কোনও সংগঠন স্বীকার না করলেও পুলিশের ধারণা এর পিছনেও আইসিসের হাত রয়েছে। কারণ তারাই নাশকতা চালাতে ইরাকে গাড়ি বোমা ব্যবহার করে। মসুল শহর থেকে আইসিসকে হঠাতে ইরাকি সেনা গোটা শহরটাকে ঘিরে ধরে আক্রমণ হানছে। রমজানের মাঝেই এই বিস্ফোরণ তারই পাল্টা বলে মনে করছে ইরাকি পুলিশ।