মানুষের কৃত্রিম ভ্রূণ তৈরি হল গবেষণাগারে, এবার খুলবে ব্ল্যাকবক্সের জট
এ এক অনন্য আবিষ্কার। মানুষের ভ্রূণ তৈরি করে ফেললেন গবেষকেরা। এভাবে কৃত্রিম ভ্রূণ এই প্রথম তৈরি হল। এবার খুলে যাবে রহস্যের জট বলে মনে করছেন গবেষকরা।
নারী ও পুরুষের মিলনের সময় নারীর দেহে থাকা ডিম্বাণু ও পুরুষের শুক্রাণু একসঙ্গে মিশে জন্ম দেয় নতুন ভ্রূণের। এক নতুন জীবনের সৃষ্টি শুরু হয় নারী গর্ভে। চিকিৎসকেরা মনে করেন এই ভ্রূণ সৃষ্টির প্রথম ১ মাসটাই আসল রহস্য। এই প্রথম ১ মাস এখনও তাঁদের কাছে ব্ল্যাকবক্সের মত। যা খোলা সম্ভব হয়নি।
অর্থাৎ প্রথম এই ১ মাসের রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হয়নি। কিন্তু ১ মাস কেটে গেলে তারপরের ৮ মাস কেবল এক শিশুর বেড়ে ওঠা। যে স্তরটি বিজ্ঞানীদের কাছে পরিস্কার।
ভ্রূণ সৃষ্টির পর প্রথম ১ মাসের সেই জট খোলার চেষ্টায় খামতি রাখেননি বিজ্ঞানীরা। কিন্তু রহস্য রহস্যই থেকে গেছে। এবার সেই রহস্যের সব জট খুলে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। সৌজন্যে নতুন এক আবিষ্কার। যা ইজরায়েলের একদল বিজ্ঞানী করে দেখালেন।
কোনও শুক্রাণু বা ডিম্বাণু ছাড়াই বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে জন্ম দিয়ে ফেললেন মানুষের ভ্রূণের। যা স্টেম সেলকে কাজে লাগিয়ে সম্ভব করেছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এটা অনৈতিকও নয়। সেদিক মাথায় রেখেই মানুষর ভ্রূণের সব গুণ সম্পন্ন হুবহু এক ভ্রূণ তাঁরা তৈরি করেছেন গবেষণাগারে।
যা পরীক্ষা করতে পারলে তাঁদের ধারনা মানব ভ্রূণের মাতৃগর্ভে থাকা প্রথম ১ মাসের সব রহস্যের জট খুলে যাবে। আর তা হলে এক দীর্ঘদিনের অজানা রহস্য চিকিৎসকদের কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা